মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে যেভাবে বিতাড়িত করে : ইয়াজিদি ধর্ম সম্প্রদায় # ৩ [১৪৭]



ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে যেভাবে বিতাড়িত করে : ইয়াজিদি ধর্ম সম্প্রদায়
[ ৩-পর্বের ইয়াজিদি মানুষের গল্পের পর্ব নং ৩ ] শেষ পর্ব
:
আইএস ও সেক্স হাটে ইয়াজিদি নারী


আইএস জঙ্গিরা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের যুবতি ও কিশোরিদের গণিমতের মাল হিসেবেই গ্রহণ করেছে এবং ওদের দেখলেই বলে, ‘আরে তোমরাতো সাবাইয়া। সাবাইয়া মানে কৃতদাসি যাকে ভোগ করা যায়। পত্রিকায় প্রকাশ মাউন্ট সিনজার এলাকা দখলের এক ঘণ্টার মধ্যেই নারী ও পুরুষদের আলাদা করে ফেলে আইএস গ্রুপ। পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। নারী, কিশোরি ও শিশুদের খোলা ট্রাকে তোলা হয়। ভূখণ্ড দখলের চেয়ে যৌনতা শুরু করাই ছিল আইএসের মাউন্ট সিনজার দখলের মূখ্য উদ্দেশ্য। অসংখ্য নারী ও মেয়েদের তোলা হতো, বাসগুলোতে তাদের একজনকে আরেকজনের কোলে বসতে বাধ্য করা হতো। বাস চলতে শুরু করলে তারা দেখল বাসের জানালাগুলো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যেহেতু তারা কোন বোরকা পরিধান করেনি এবং মাথায় ওড়না দেয়নি, তাই এ ব্যবস্থা করে আইএস। একজন পালিয়ে আসা নারী বলে, ‘তারা আমাদের দেখে হাসতে থাকে এবং বলতে থাকে তুমি একটা "সাবাইয়া"। পরে আইএসের স্থানীয় এক নেতা জানায়, সাবাইয়া মানে দাসী। সে আমাদের বলে, ‘তাউস মালিক (ইয়াজিদিদের প্রধান ৭ দেবতার একজন) সৃষ্টিকর্তা নয়। সে একটা শয়তান এবং যেহেতু তোরা তার প্রার্থনা করিস, তাই তোরা আমাদের অধিকারভুক্ত। আমরা চাইলেই তোদের সাথে সেক্স কিংবা তোদের বিক্রি করতে পারি।শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়াজিদি গবেষক মি. বারবার জানান, ইয়াজিদিদের এ কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য সম্ভবত এটা যে, তারা বহুঈশ্বরবাদী এবং তাদের কোন লিখিত ধর্মগ্রন্থ নেই। তাদের ধর্ম মৌখিকভাবে প্রচারিত রীতিনীতির উপর চলে। আইএস তাদেরকে খ্রিস্টান ও ইহুদের চেয়েও জঘন্য পর্যায়ের বিধর্মী মনে করে। যেহেতু কুরআনে খ্রিস্টান ও ইহুদিদের আহলে কিতাব (যারা ঐশীগ্রন্থের ধারক) বলা হয়েছে। সুতরাং সঙ্গত কারণেই ইয়াজিদিরা ইসলাম বিরোধি দল তথা ধর্ম। ইসলামিক স্টেট ঘোষণার পর থেকে প্রায় শপাঁচেক ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছে বাগদাদীর নেতৃত্বাধীন সুন্নি জঙ্গিরা। তারা ইয়াজিদি সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, নয়তো বাস্তুচ্যুত করছে করছে লুটপাট আর ধর্ষণ। পত্রিকায় প্রকাশ আইএস আক্রমনে সিনজার ও কুর্দিস্তানের প্রায় ৫০ হাজার ইয়াজিদি উত্তর ইরাকের সিনজার পর্বতে আটকা পড়েছেন। বিপজ্জনক সেই স্থানে খাদ্য ও পানীয়ের তীব্র সঙ্কট। অনেকে ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তের টাইগ্রিস নদী পার হয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে পেরেছেন। কিন্তু যারা তাৎক্ষণিক নিরাপদ ভেবে পাহাড়ের দিকে উঠে গিয়েছেন, সেই পাহাড় তাদের জন্য এখন বিপজ্জনক। পাহাড় থেকে নেমে আসার পথও বন্ধ করেছে আাইএস।
:
ইরাকি পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনের একমাত্র ইয়াজিদি সাংসদ "ভিয়ান দাখিল" জানান, আমাদের পবিত্রস্থান নালিশ আজ নরকে পরিণত হয়েছে। প্রাচীন এই প্রার্থনালয়টি ঘেরা ছায়া ঢাকা লোকালয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, এই অঞ্চলেই ছিল আদম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত সেই স্বর্গ। সেই নালিশ আজ নরক। আমাদের অপরাধ আমরা নাকি শয়তানের পূজারি, সেজন্য আইএস জঙ্গিরা আমাদের পবিত্র স্থান ধ্বংস করে দিতে চায়, বাস্তুচ্যুত করেছে, করতে চায় ধর্মান্তরিত। এহেন সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি দমাতে পশ্চিমাদের এগিয়ে আসতেই হবে। নয়তো পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধর্মানুসারীরা হারিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, তাদের পঞ্জিকা ৬ হাজার ৭৫৬ বছরের প্রাচীন। ইরাকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আজ ছড়িয়ে আছে। রহস্যাবৃত ইয়াজিদিরা সাম্প্রদায়িক হামলার অন্যতম শিকার। শয়তানের পূজারি হোক বা হোক মানুষ, তারা কি বিলুপ্ত হবে এ বিশ্ব থেকে?
:
ধর্মের নামে প্রাচীন আর মধ্যযুগে লাখো মানুষকে হত্যা করেছে এক ধর্মের মানুষ অন্যদেরকে। ২০১৫ সনেও কি ইয়াজিদি পুরুষদের হত্যা করবে বিশ্বের অন্য ধর্মের মানুষেরা? তাদের নারীদের করবে ধর্ষণ কিংবা বিক্রি সেক্স হাটে? কবে ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিবেধের পরাসমাপ্তি হবে? কবে দেখবো সুন্দর মানবতার অনুপম বিশ্ব? যেখানে মানুষ হিসেবে সবার পরিচয় হবে, ধর্ম হিসেবে নয়?
:
[প্রবন্ধটি লিখতে ইন্টারনেট, বিবিসি, উইকি, পত্রিকা থেকে নানাবিধ তথ্য সহায়তা নেয়া হয়েছে]

ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে যেভাবে বিতাড়িত করে : ইয়াজিদি ধর্ম সম্প্রদায় # ২ [১৪৬]



ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে যেভাবে বিতাড়িত করে : ইয়াজিদি ধর্ম সম্প্রদায়
[ ৩-পর্বের ইয়াজিদি মানুষের গল্পের পর্ব নং ২ ]
:
বলা হয়, প্রায় ছয় হাজার বছর পুরনো এই সম্প্রদায়ের ওপর মোট ৭২ বার গণহত্যা চালানো হয়েছিল বলে এক ইয়াজিদি বিশ্লেষকের অভিমত। ধর্মীয় কারণে জীবন দহনে নিষ্পেষিত ইয়াজিদি নাম শুনে অনেকেই মনে করেন ইসলামের পঞ্চম খলিফা মুয়াবিয়ার ছেলে ইয়াজিদের বংশধর কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইয়াজিদিদের সঙ্গে ইয়াজিদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইয়াজিদি শব্দটি এসেছে ফার্সি 'ইজদ' থেকে, যার অর্থ দেবদূত। তবে এই সম্প্রদায়টি নিজেদের পরিচয় দেয় দাসিনহিসেবে। আইএসসহ (আইএসআইএল বা ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট) সুন্নি চরমপন্থি গোষ্ঠিগুলোর বিশ্বাস, ইয়াজিদি নামটি এসেছে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার নাম থেকে। উমাইয়া বংশের দ্বিতীয় খলিফা (৬৪৭-৬৮৩) ইয়াজিদ অত্যন্ত "অজনপ্রিয়" শাসক ছিলেন, কারবালার ঘটনার সাথে এ নামটি বেশ জড়িত। তবে আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, এ গোষ্ঠীর নামটির সঙ্গে খলিফা ইয়াজিদ বা পারস্যের (প্রাচীন ইরান) শহর ইয়জদ নগরের (যেটি মুলত এখনো জরথ্রুস্টবাদি হিসেবে পরিচিত) কোনো সম্পর্ক নেই। বরং নামটি নেওয়া হয়েছে আধুনিক ফার্সি ইজদথেকে, যার অর্থ হচ্ছে দেবদূত বা দেবতা। তা থেকে ইয়াজিদি শব্দের সাধারণ অর্থ হচ্ছে, ‘ঈশ্বরের উপাসক। ইয়াজিদিরা ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন এবং খ্রিষ্টধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল উভয়কেই শ্রদ্ধা করে থাকে। তাদের নিজস্ব ধর্মীয় প্রথাগুলোর বেশির ভাগই মৌখিক। এমন ভুল ধারণাও রয়েছে যে, ইয়াজিদি মতবিশ্বাস জরথুস্ত্রবাদ (প্রাচীন পারস্য ধর্মীয় বিশ্বাস ও দর্শন, যার অনুসারীরা অগ্নি উপাসক বা পার্সি বা "মাজুসি" নামে পরিচিত) মতবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
:
ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কাছে মালিক তাউস এবং শেখ আদি দুজনকেই সমভাবে শ্রদ্ধা ও ভক্তি করা হয়। শেখ আদি দাবি করেন, তার জন্ম সৃষ্টির শুরুর দিকে এবং আদম (প্রথম মানব) যখন স্বর্গে বাস করতেন, তখন শেখ আদি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নমরুদকে যখন নীল নদে ফেলা হয় তখন শেখ আদি সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। এ ছাড়া ইয়াজিদিরা ইসলাম এবং খ্রীস্টান ধর্মমতবাদের অনেক বৈপরীত্য বিষয় বিশ্বাস করে। এই কারণে মধ্যপ্রাচ্যে তারা শয়তানের পূজারী হিসেবেই চিহ্নিত। প্রাক ইসলামিক যুগ হতে শয়তানের পূজারী হওয়ার কারণে তাদের প্রতি নানা অত্যাচার এবং হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
:
শেখ আদি ইবনে মুসাফির একজন সুফি সাধক। মসুলের উত্তর-পূর্ব শহর লালিস উপত্যকায় দ্বাদশ শতাব্দীতে তিনি বসবাস শুরু করেন। ১১৬২ খ্রিস্টাব্দে শেখ আদির মৃত্যুর পর তার কবরকে কেন্দ্র করেই ইয়াজিদি বংশের লোকজন তীর্থ যাত্রার প্রচলন শুরু করে। এছাড়া ইয়াজিদিরা খলিফা ইয়াজিদকে একজন মহান আত্মার পুনর্জাগরণ বলে মনে করে। শুধু তাই নয়, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বিশ্বাস মালিক তাউস হলো বিশ্বের দায়িত্বরত একজন দূত। এবং ঈশ্বরের দ্যুতি হতে মালিক টাউসের সৃষ্টি। সৃষ্টির পর ঈশ্বর মালিক তাউসকে নির্দেশ করেন ঈশ্বর ছাড়া অন্য কোন বস্তুকে সিজদা না করার। এই কারণে পৃথিবীর ধুলা হতে সৃষ্ট আদমকে (প্রথম মানব) মালিক তাউস সেজদা করেনি। আদমকে সেজদা করা ঈশ্বরের নির্দেশ হলেও তা ছিল মালিক টাউসের প্রতি একটি পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষায় মালিক তাউস উত্তীর্ণ করে এবং ঈশ্বরের প্রশংসা লাভ করে। প্রচলিত ধর্ম মতবাদরে এমন বৈপরীত্য বিশ্বাসের কারণে ইয়াজিদি সম্প্রদায় মধ্যপ্রাচ্যে নানা অত্যাচার এবং নির্যাতনের শিকার হয়।
:
ব্যাপ্টিস্ট খ্রিষ্টানদের মতো ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের শিশুদের সর্বাঙ্গ পবিত্র পানিতে ডুবিয়ে দীক্ষা দেন একজন পীর। ডিসেম্বর মাসে ইয়াজিদিরা তিন দিন রোজা রাখে। পরে পীরের সঙ্গে সুরা পান করে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখ ইয়াজিদিদের বার্ষিক তীর্থযাত্রার সময়। এ সময় তারা মসুল শহরের উত্তরে অবস্থিত লালেশ এলাকার শেখ আদির মাজারে গিয়ে নদীতে ওজুর মতো করে পবিত্র হয়। এ ছাড়া ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মধ্যে পশু উৎসর্গ করা (কুরবানী) এবং খতনা দেওয়ার প্রথাও রয়েছে। ইয়াজিদিদের সর্বোচ্চ দেবতার নাম ইয়াজদান।
:
[এর পর শেষ পর্ব। যাতে পাবেন আইএস কর্তৃক ইয়াজিদি পুরুষ হত্যা, নারীদের ধর্ষণ আর সেক্স হাটে বিক্রির গল্প)



ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে যেভাবে বিতাড়িত করে : ইয়াজিদি ধর্ম সম্প্রদায় # ১ [১৪৫]

 

ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে যেভাবে বিতাড়িত করে : ইয়াজিদি ধর্ম সম্প্রদায়
[
৩-পর্বের ইয়াজিদি মানুষের গল্পের পর্ব নং ১ ]

:
২০১৫ সনে শেওলার মতো ভেসে বেড়ানো ইয়াজিদিগণ প্রধানত উত্তর ইরাকের 'নিনেভেহ' প্রদেশে বসবাস করে। ইরাকের সংখ্যালঘু এ ইয়াজিদি ধর্মীয় সম্প্রদায়টি মাউন্ট সিনজার উপত্যকা ও তৎসল্প বিভিন্ন গিরিখাতে নিজস্ব জীবন চেতনায় স্নাত এক জাতি। ইয়াজিদি বা এজিদি হচ্ছে একটি কুর্দি নৃ-ধর্মীয় গোষ্ঠী, যাদের রীতি-নীতির সাথে জরথুস্ত্র ধর্মমতের নৈকট্য তথা সাদৃশ্য রয়েছে। ইয়াজিদিগণ বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সাতটি পবিত্র জিনিস তথাা ফেরেশতার মাঝে এটাকে স্থাপন করেছেন। এই সাতজনের প্রধান হচ্ছেন, "মেলেক তাউস" তথা "ময়ুর ফেরেশতা"। ইয়াজিদিদের বর্ণিত তাউসের সাথে ইসলাম ধর্মে বর্ণিত শয়তানের বেশ সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এমনকি স্বর্গ থেকে শয়তান ও মেলেক তাউসের বিতাড়নের কাহিনি একই, মানে মাটি নির্মিত আদমকে সিজদা না করা।
:
ইরাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্যতম ইয়াজিদি একটি রহস্যময় সম্প্রদায়। তুর্কীভাষিক ইয়াজিদি সম্প্রদায় প্রাচীন কাল হতে জরথুস্ত্রবাদ এবং মেসোপটেমিয়ার ধর্মীয় বিশ্বাস ও দর্শনের অনুসারী। পাশাপাশি তারা ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরান এবং খ্রিস্টধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল উভয়কেই শ্রদ্ধা করে থাকে। পৃথিবীর নানা ধর্মের মিশেলে তৈরি ইয়াজিদিদের বিশ্বাস নিয়ে তাই রহস্য এবং ভুল-ধারণা কোনটির কমতি নেই। রহস্যময় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কারণে এ ধারণা আরও বিস্তৃত লাভ করে।
:
ইয়াজিদিরা ইরাকের মোট ৩৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার মাত্র ১.৫ শতাংশ। ইরাক ছাড়াও জর্জিয়া এবং সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইয়াজিদিদের সাক্ষাৎ মেলে। অনেকের মতে, সমগ্র বিশ্বে সম্প্রদায়টির এক লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে। তবে সম্প্রদায়টির নিজেদের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, তাদের সংখ্যা আট লাখের মতো। গবেষকরা বলছেন, ইরাকে ৬ লাখ ৫০ হাজার, জার্মানিতে ৬০ হাজার, সিরিয়ার ৫০ হাজার, রাশিয়ায় ৪০ হাজার ৫৮৬, আর্মেনিয়ায় ৩৫ হাজার ২৭২, জর্জিয়ায় ২০ হাজার ৮৪৩, সুইডেনে ৪ হাজার, তুরস্কে ৩৭৭, ডেনমার্কে ৫০০ মিলে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষ সাকুল্যে ৭ লাখের বেশি নয় এ পৃথিবীতে।
:
ইয়াজিদিরা ইহুদি ও ইসলামের মত একেশ্বরবাদী। তাদের সর্বোচ্চ দেবতার নাম ইয়াজদান। যিনি সাতটি মহাত্মার উৎস এবং এর মধ্যে প্রধান 'মালিক তাউস। জরথুস্ত্রবাদের রীতি অনুসারে মালিক তাউসকে তারা ময়ূরদূত বা প্রধান দূত হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসলাম এবং খ্রিস্ট ধর্মানুসারেও মালিক তাউস হলো ইবলিশ শয়তান। ইয়াজিদিরা মালিক তাউসকে একজন পতিত দূত মানতে নারাজ বরং তারা বিশ্বাস করে মালিক তাউস হলো একজন সম্মানিত দূত। যার নাম সচরাচর ইয়াজিদিরা মুখে উচ্চারণ করে না। এছাড়া ইয়াজিদিরা বিশ্বাস করে, তারা আদমের সন্তান শহীদ বিন জাবের বংশধর। এবং অন্যান্য মানব জাতি আদম-হাওয়া দুইজনেরই বংশধর। এই কারণে ইয়াজিদিরা অন্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া দূরে থাক, মেলামেশা করা থেকেও নিজেদের বিরত রাখে তারা সযতনে। ইয়াজিদিরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের সামনে নিজেদের ধর্মীয় রীতি-অনুষ্ঠান কোন কিছুই পালন করে না। তাদের আচার-অনুষ্ঠান সবটাই অত্যন্ত গোপনে পালন করা হয়, যাতে কেউ না দেখে।
:
ইয়াজিদিরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে। নিভেজা বেরিস্পেদে (ভোরের বা ফজরের নামাজ), নিভেজা রোঝিলাতিনে (সূর্যোদয়ের নামাজ), নিভেজা নিভ্রো (দুপুরের বা যোহর নামাজ), নিভেজা এভারি (বিকেলের বা আসর নামাজ), নিভেজা রোজাভাবুনে (সূর্যাস্তের বা মাগরিব নামাজ)। বর্তমানে ইয়াজিদিগণ শুধুমাত্র সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের নামাজ পড়ে থাকে, বাকিগুলো তেমন পড়ে না। সূর্যোদয়ের নামাজের সময় ইয়াজিদিগণ সূর্য পূজারীদের মত সূর্যের দিকে এবং সূর্যাস্তের নামাজের সময় লাল আভার দিকে মুখ করে থাকে। দিনের সকল নামাজ সূর্যের দিকে ফিরে পড়া হয়। বহিরাগতদের উপস্থিতিতে দিবসের নামাজ পড়া হয় না। বুধবার হচ্ছে তাদের পবিত্র দিন এবং শনিবার বিশ্রাম দিবস। ডিসেম্বর মাসে তারা তিন দিনের রোজা পালন করে। 
:
ইয়াজিদি সম্প্রদায় একই সঙ্গে আলো ও অন্ধকারেরও পূজো করে। তবে বিশেষভাবে সূর্যের উপাসনা করা তাদের ধর্মের অন্যতম অনুষঙ্গ বা রীতি। তাদের মধ্যে পশু কোরবানি ও খতনা করার প্রথাও প্রচলিত ইহুদি মুসলিমের মতই। তবে শুধু জন্মসূত্রেই কেউ এই ধর্মের অনুসারী হতে পারে, ধর্মান্তরসূত্রে নয়। মালিক তাউস আসলে শয়তানের অপর নাম। সে কারণে ইয়াজিদিদেরকে অনেক মুসলিম ও খ্রিস্টান শয়তানের উপাসক বলেও মনে করে। তবে কুর্দিশ ভাষাতাত্ত্বিক জামেল নেবেজের মতে, তাউস শব্দটি গ্রিক যার অর্থ "সৃষ্টিকর্তা"।
:
ইয়াজিদিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ইরাক এর উত্তর মসুলের লালিস এ অবস্থিত শেখ আদি ইবনে মুসাফির (সেক সাদি) এর মাজারে সাতদিনের হজ্বব্রত বা তীর্থভ্রমণ পালন। যদি সম্ভব হয়, প্রত্যেক ইয়াজিদি তাদের জীবদ্দশায় একবার সেক সাদির মাজারে তীর্থভ্রমণের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। তীর্থভ্রমণের সময় তারা নদীতে গোছল করে। তাউস মেলেকের মূর্তি ধৌত করে এবং শেখ সাদির মাজারে শত প্রদ্বীপ জ্বালায়। এই সময়ে তারা একটি ষাঁড় কুরবানি করে।
:
যখন দিন ও রাত্রি সমান হয় অর্থাৎ বিষুবরেখার পর বসন্তে তাদের নতুন বছরের শুরু হয়। এ সময় বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এবং নতুন পোশাক পরিধানের মধ্য দিয়ে নতুন বছর উদযাপন করে তারা। এছাড়া তাদের আরেকটি প্রধান উৎসব হলো, ময়ূর পরিবেষ্টন। ইয়াজিদি গ্রামে ময়ূর-এর পবিত্র ছবি পরিবেষ্টনের মাধ্যমে এই উৎসব পালন করা হয়। মূলত মালিক তাউসের প্রতীক হলো এই ময়ূর। এ সময় ধর্মীয় বাণী প্রচার এবং পবিত্র পানি বিতরণ করা হয় সাধারণ ইয়াজিদিদের মধ্যে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখ ইয়াজিদিদের বার্ষিক তীর্থ যাত্রার সময়।
[
একটু পরেই পাবেন পর্ব # ২]


 https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1710933292474153&set=a.1381466915420794.1073741828.100006724954459&type=3&theater&notif_t=like

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইসলামি শিরোচ্ছেদ (কতল-কিসাস) ও রজম : প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে [ পর্ব - ৭ ] # ১৪৪


ইসলামি শিরোচ্ছেদ (কতল-কিসাস) ও রজম : প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে [ পর্ব - ৭ ] শেষ পর্ব
এ লেখাটি কয়েকটি পর্বে সমাপ্ত হবে, সম্পূর্ণ লেখাটির জন্যে এখানে চোখ রাখুন

সৌদি আরবের সঙ্গে কেউ কেউ বাংলাদেশের অপরাধের মাত্রার তুলনা করে থাকেন। অভাবে স্বভাব নষ্ট – এই আপ্তবাক্যই অনেকাংশে বাংলাদেশে সৌদি আরবের চেয়ে অপরাধের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণ। সামান্য বৈদ্যুতিক তার চুরি করা থেকেই এই “অভাবে স্বভাব নষ্টের” চরম বাস্তবিক প্রমাণ পাওয়া যায়। তেল দিয়ে অর্জিত অর্থ না থাকলে আজকে সৌদি আরবীয় জনগণও ব্যাপক দুর্নীতি করতো ।

তবে এটাও আমরা ভুলে যাই কেন যে – সৌদি আরবের জনগণ যেমন মুসলিম, ইরাক-ইরান-ইয়েমেনের জনগণ যেমন মুসলিম তেমনি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জনগণও মুসলিম। সুতরাং, মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাষ্ট্রেই অপরাধ বেশি এবং শিরচ্ছেদ করে যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় তা ইরাক ইরান ইয়েমেন থেকেই সুস্পষ্ট। যারা সৌদি আরব প্রীতি দেখাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের দোষ ধরছেন, তাদের এটা জানা উচিত বাংলাদেশের এই অপকর্মকারী ব্যক্তিরাও মুসলিম, ইহুদী নন।

বিদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদেরও ফিরিয়ে আনার নজির

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ‘রক্তমূল্য’ দিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছে। শারজায় এক পাকিস্তানিকে হত্যার দায়ে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট আদালতের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে আইন অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির পরিবারকে আদালত নির্ধারিত এক কোটি টাকা রক্তমূল্য দেওয়ার পর ওই ছয় বাংলাদেশি মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান হিসেবে তাঁদের এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, সৌদি আরবেও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের দণ্ড হ্রাস করার নজির আছে। গত শতকের আশির দশকে সৌদি আরবে এক অপরাধের জন্য হাত কাটার অবস্থা হয়েছিল বাংলাদেশি এক শিল্পপতির (বর্তমানে প্রয়াত)। পরে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সৌদি সরকার তাঁর হাতের বদলে শাস্তি হিসেবে আঙুল কেটে দেয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, দেশ ও অপরাধভেদে শাস্তির মাত্রাও ভিন্ন। তাই নাগরিকদের অপরাধের দণ্ড মওকুফ বা কমানোর প্রচেষ্টা সব সময় সফল হয় না।
কেন এই ইসলামিক কায়দায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ?
সময় বদলেছে, সময়ের প্রবাহের সাথে সাথে সভ্যতার প্রসার-বিস্তার ঘটেছে কিন্তু এই অমানবিক প্রথার কোন পরিবর্তন বা সংস্কার সাধন ঘটেনি ইসলামিক বিশ্বে। কেননা ইসলাম সংস্কারে বিশ্বাস করেনা, ইসলাম বিশ্বাস করে মৌলবাদ এবং প্রথাকে অন্ধভাবে আঁকড়ে ধরে থাকতে। যেখানে ফাঁসি আছে, বুলেট আছে, হিপনোটিক ইঞ্জেকশন আছে সেখানে এইরকম রক্তলোলুপ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রয়োজন কিসের ? ৭ম শতাব্দীতে নাহয় বিভিন্ন উন্নত পন্থা ছিলোনা, নাহয় সেসময়ে তলোয়ার,কুড়াল ও ছুরি ব্যতীত অন্য পন্থা ছিলোনা কিন্তু বর্তমানে তো আছে। তাও কেন সেই আদিম-মধ্যযুগীয় পন্থার অন্ধ অনুকরণ ? এর কারণ – প্রকৃত মুসলিম মানেই মৌলবাদী অর্থাৎ ইসলামের মৌলিক/গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অন্ধের মত অনুকরণ। তাই প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরব, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, পাকিস্তানীরাই প্রকৃত ইসলামিক রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্রের মুসলিমেরা প্রকৃত মুসলিম নয়। বাংলাদেশীরা মঙ্গোলয়েড ককেশয়েড এবং দ্রাবিড়ের সংমিশ্রণ। শাড়ি পড়া, কপালে টিপ দেওয়া, লুঙ্গি পড়া, ফুল দেওয়া, পূজাপার্বণে যাওয়া, বাংলা নববর্ষ উদযাপন – এগুলোর কোনটিই ইসলামিক সংস্কৃতির অংশ নয় বরং ধর্মনিরপেক্ষ বাঙ্গালি/ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। তাই সেই বিচারে বাংলাদেশীরা সুস্পষ্টভাবেই প্রকৃত মুসলিম নয়, যদিও নিজেকে সকলেই প্রকৃত বলে মনে করে।
ধর্মের ২টি মূল স্তম্ভ রয়েছে যার উপর দাঁড়িয়ে ধর্ম আজ পর্যন্ত মানুষকে বোকা বানিয়ে চলেছে, সেদুটি হলো – ক) ভয়ভীতি ২) লোভলালসা। ভয়ভীতি থেকে মানুষ ধর্মীয় আচারাদি পালনে রত হয়। আবার তথাকথিত জান্নাত প্রাপ্তির লোভে মানুষ এসকল আচারাদি আরো বেশি করে পালনে তৎপর থাকে। তাই বিভিন্ন নতুন পন্থা থাকলেও তারা ইসলামী পন্থাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে। এর একটি চমৎকার বাস্তবিক উদাহরণ হলো – আমাদের দেশের ছাত্রশিবিরের গুন্ডারা বুলেট ব্যবহার না করে ছুরি ব্লেড কিরীচ ইত্যাদি দিয়ে হাত/পা/হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। তারা সকল কিছুই কোরান ও হাদীসের আলোকে সম্পন্ন করতে চায়। তাই আমাদের দেশের সাধারণ মুসলিমেরা প্রকৃতপক্ষে প্রকৃত মুসলিম নয়, কেননা তারা অনেক ক্ষেত্রেই ইসলামিক আইনকানুনের খেলাফ কাজকর্ম করে (যেমন চিত্রাংকন, সঙ্গীত বা চলচিত্র)। পক্ষান্তরে এই জামাত শিবিরেরাই প্রকৃত মুসলিম কেননা সুরা মায়িদাহ আনফাল বা মুহাম্মদের আয়াতের মত হুবুহু তলোয়ার কুড়াল ছুরি ব্লেড কিরীচ নিয়ে তারা হাত পায়ের রগ কাটতে প্রবৃত্ত হয়।
ভুলবসত কেউ হত্যা করলে (হুযাইফার পিতা হত্যা) তাকে শাস্তি দেয়া হয়নি (বুখারী-৬৪১০)।
পশুর সাথে যেনাকারীকে ও পশুকে একত্রে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন নবী (তিরমিযী-১৩৯৪), কাউকে খুন করলে উত্তম পন্থায় খুন করবে (তিরমিযী-১৩৪৯),
মাইয ইবনে মালেক নিজেই যেনার অপরাধ স্বীকার করলে নবী তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিলে, সবাই তা কার্যকরণে নামে। মাইয পাথরের আঘাতে পালাতে থাকলে, তাকে উটের হাড় দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। নবী বললেন, তোমরা তাকে ছেড়ে দিলেনা কেন? (তিরমিযী-১৩৬৮), ৩-বার পর্যন্ত মদ পানকারীকে চাবুক মারো, ৪র্থ বারে হত্যা কর (তিরমিযী-১৩৮৪), নবীর নির্দেশে চোরের হাত কেটে তার ঘাড়ে লটকে দেয়া হয় (তিরমিযী-১৩৮৭)
তোমরা বয়স্ক মুশরিকদের খুন করো কিন্তু শিশুদের হত্যা করোনা (দাউদ-২৬৬১),
তাওরাতের বিধান মোতাবেক যেনাকারী ২-ইহুদী নরনারীকে নবী পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিলে হত্যা কার্যকরের সময়, পুরচষটি মহিলাটির উপর ঝুকে পড়ে মহিলাটিকে প্রস্তরাঘাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করে (বুখারী-৩৩৬৪)।
ওহুদের যুদ্ধে কাফেররা নবীকে ৭০-টি আঘাত করেছিল, প্রধান আক্রমনকারী ছিল উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাস, নবী নিজ হাতে উবাই ইবনে খালাফকে হত্যা করেছিলেন (বুখারী-৩৭৬৮-৭০)।
ধোকায় ফেলে হত্যার ব্যাপারে ওমর বলেছিলেন, যদি এই হত্যায় (ধোকার) সকল সা’নাবাসী শরীক হতো, তবে আমি সবাইকে হত্যা করতাম (বুখারী-৬৪১৭)।
হেযাজের ইহুদী ব্যবসায়ী আবু রাফে’কে নবীর নির্দেশে ঘুমন্ত অবস্থায় আবদুললাহ ইবনে আতিক ও বনী কুরাইযা গোত্রের ইহুদী কবি কা’ব ইবনে আশরাফকে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা ধোকার আশ্রয় নিয়ে হত্যা করেন। সরল বিশ্বাসে ইহুদী কবি কা’ব মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামার সামনে এলে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা তার চুলের সুগন্ধির প্রশংসা করে তার চুলের ঘ্রাণ নেয়ার অনুমতি চান। কবি কা’ব সরল বিশ্বাসে ঘ্রাণ নিতে সম্মতি দিলে ধোকায় ফেলে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা তার চুল আকড়ে ধরেন এবং সঙ্গীদের সহায়তায় তাকে হত্যা করেন (বুখারী-২৮০০-১,৬,৩৭৩৫-৬)।
ধোঁকা দিয়ে কাউকে মারা যাবে না (আবুদাউদ-২৭৬০)।
৭ পর্বে লেখাটি শেষ হলো ।


https://www.facebook.com/logicalbengali/posts/1553198634914287:0