হাদিস : নবী (স) বলেছেন, তোমরা ঘোড়া প্রতিপালন কর এবং এর গলায় কিলাদা (মালা) পরাও (আবুদাউদ-২৫৪৫); নবী ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেন (আবুদাউদ-২৫৬৮-৯); নবী (স) বলেছেন, ‘‘ঘোড়ার চুলে কল্যাণ ও বরকত কিয়ামত পর্যন্ত’’ (বুখারী-২৬৪০-১); জিহাদের জন্য ঘোড়া পালন করলে কিয়ামতে ঘোড়ার খাদ্য, পানীয়, গোবর ও পেসাবের সমপরিমাণ কল্যাণ দেয়া হবে (বুখারী-২৬৪৩); নবী (স) ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছিলেন (বুখারী-২৬৫৭); নবী (স) বলেছেন ঘোড়ার কপালের লম্বা চুলে কল্যাণ ও বরকত (বুখারী-২৬৪০-১, ৩৩৭২-৩); ঘোড়া লালনকারীকে কিয়ামতের দিন ঘোড়ার খাদ্য, পানীয়, গোবর ও পেসাবের সমপরিমাণ কল্যাণ দেয়া হবে (বুখারী-২৬৪৩); নবী (স) ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন (বুখারী-২৬৫৭)
এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন - আপনাদের কাউকে জিহাদের জন্য ঘোড়া পালন, বিক্রি, সওয়ার হতে দেখিনা কেন? আপনাদের কাউকে ঘোড়-দৌঁড়ের আয়োজন করতে দেখিনি কেন? কোনো মাদরাসায় ঘোড়-দৌঁড়ের আয়োজন হয়না কেন? মতিঝিল অভিযানেও কেউ ঘোড়ায় চড়ে আসেনি কেন? এ সব প্রশ্ন করলে আপনাদের মুখে টু-শব্দটি নেই। তাহলে আপনারা কিভাবে ইসলাম মানার দাবীদার হতে পারেন? তাহলে এ যুগে আর ইসলাম মানলেন কই? শুধু মুখে মুখে? এখন এ হাদিস মানা সম্ভব নয়? যদি তাই হয়, তবে অনেক হাদিসইতো এ যুগে মানা সম্ভব নয় যেমন আপনাদের প্রদত্ত ১৩-দফা। এটি না মানতে পারলে ১৩-দফা পাবলিক মানবে কিভাবে? ইসলাম যেহেতু ১০০% আপনারাও মানছেন না, তাহলে আপনাদের বাছাইকৃত ১৩-দফার জন্য হুমকি দিচ্ছেন কেন সকল মুসলমানকে? ইসলামকে স্বাধীনভাবে ব্যাখ্যা, বোঝা ও পালন করার অধিকার আছে প্রত্যেক মুসলমানের। আপনারা ইসলামের কে? বিশ্বের সকল মুসলমানের উপর কর্তৃত্ব তথা ফতোয়া জারীর অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? আপনাদের কথাতো কোরান-হাদিসের কোথাও পেলাম না? সুতরাং আগে আপনারা কোরান ও হাদিস (সহি বুখারী, মুসলিম, আবুদাউদ, ইবনে-মাযাহ, তিরমিযী, নাসাঈ, মুয়াত্তাসহ সব হাদিস) ১০০% মেনে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। সকল মুসলিম দেশে ইসলামী আইন পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে ‘আল্টিমেটাম’ দিন (ইসলাম অনুসারে মুসলিম জাহানে কোন রাষ্ট্রীয় বিভাজন আছে কি?), এরপর বাংলাদেশে আসুন ‘ক্ষমতা থেকে নামাতে’ কিংবা কাউকে ‘ক্ষমতার মসনদে বসাতে’!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন