বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইসলামি শিরোচ্ছেদ (কতল-কিসাস) ও রজম : প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে [ পর্ব - ৪ ] # ১৪১



ইসলামি শিরোচ্ছেদ (কতল-কিসাস) ও রজম : প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে [ পর্ব - ৪ ]
এ লেখাটি ৭-পর্বে সমাপ্ত হবে, সম্পূর্ণ লেখাটির জন্যে এখানে চোখ রাখুন

শিরোচ্ছেদ বিষয়ক কতিপয় উদাহরণ নিম্নরূপ :

সহীহ বুখারী ৫.৫৯.৪৬২ ও সিরাত রাসুল আল্লাহ মোতাবেক, বানু মুসতালিক হামলার সময় নবী মোহাম্মদের পত্নী আয়েশার বিরুদ্ধে মিথ্যে গুজব ছড়ানোর দায়ে ৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের শিরচ্ছেদ করা হয়। তার শিরচ্ছেদ করলে তার পক্ষে অনেকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে এই ভয়ে নবী মোহাম্মদ ভীত হয়ে এ ব্যাপারে হজরত উমরের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন বলে জানা যায় এবং এই শিরচ্ছেদ জায়েজ করার জন্য কোরানের আয়াত নাযিল হয় !

সূত্রঃ Mubarakpuri, The Sealed Nectar, p. 208-210.http://www.webcitation.org/60wabZqtW
Ibn Kathīr, Muhammad Saed Abdul-Rahman (2009), Tafsir Ibn Kathir Juz’ 18 (Part 18):
Al-Muminum 1 to Al-Furqan 20 2nd Edition, MSA Publication Limited, ISBN 9781861797223 p. 77.
http://books.google.co.uk/books?id=UXIMSE5E-soC&pg=PA77
Haykal, Hussain (1994), The Life of Mohammed, Islamic Book Trust, ISBN 978-8187746461 p. 354
http://books.google.co.uk/books…
Tafsir Ibn Kathir (Volume 4), Volume 4 http://books.google.co.uk/books?id=bT8A7qQ-7ZoC&pg=PA490
Rahman, Muhammad Saed (2008), Tafsir Ibn Kathir Juz’ 10 (Part 10): Al-Anfal 41 To At-Tauba 92, MSA publication limited, ISBN 9781861795786 p. 221.
http://books.google.co.uk/books?id=9PL5jJ_ZOI0C&pg=PA221
সিরাত রাসুল আল্লাহ এবং তাবারী ভলিউম-৮ মোতাবেক, কাইস গোত্রকে যুদ্ধে প্ররোচিত করার দায়ে ৪ নারীকে আটক করা হয় এবং রিফাহ বিন কাইসের শিরোচ্ছেদ করা হয়।
সূত্রঃ Mubarakpuri, The Sealed Nectar, p. 242http://www.webcitation.org/60y5XJmQz
Ibn Hisham, Ibn Ishaq, Alfred Guillaume (translator), The life of Muhammad: a translation of Isḥāq’s Sīrat rasūl Allāh, pp. 671-672.
Al Tabari, Michael Fishbein (translator) (1997), Volume 8, Victory of Islam, State University of New York Press, ISBN 9780791431504 p. 151
http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&dq

আবু দাউদ ১৪.২৭৫৬ এবং তাবারী ভলিউম-১০ মোতাবেক, মুসাইলিমাকে নবী হিসেবে দাবী করার কারণে আব্দুল্লাহ ইবন মাসুদের দ্বারা মুসলিম গুপ্তচর ইবনে আন নাওয়াহ’র শিরোচ্ছেদ করা হয়। উল্লেখ্য নবী মোহাম্মদ একদা নাওয়াহকে বলেছিলেন – বাকী গুপ্তচরেরা মারা না গেলে তোমার আমি শিরচ্ছেদ করতাম।
সূত্রঃ Shaykh Safiur Rahman Al Mubarakpuri, Ismāʻīl ibn ʻUmar Ibn Kathīr, Ṣafī al-Raḥmān
Mubārakfūrī, Tafsir Ibn Kathir (Volume 4), Volume 4, p. 379.http://www.webcitation.org/619xF7mgV
Abu Dawud 14:2756 http://www.cmje.org/religious-…/hadith/abudawud/014-sat.php…
Tabari, Al (1993), The conquest of Arabia, State University of New York Press, ISBN 978-0791410714 p. 107 http://books.google.co.uk/books?id=VA5Uke7IpHkC&pg=PA16
এ বিষয়ক কতিপয় সহি হাদিস :

নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ইহুদী বনু নযীর গোত্র এইমর্মে নবীকে প্রস্তাব দেয় যে, ৩০-জন ইহুদী ও ৩০-জন মুসলমান আলেম ধর্মীয় ব্যাপারে বসে সত্যাসত্যা নির্ধারণ করবে। ৩০-ইহুদী আলেম মুহম্মদকে ‘নবী’ হিসেবে মানলে, গোত্র প্রধানসহ সবাই মুসলমান হবে। কিন্তু পরদিন নবী তাদের দূর্গ আক্রমন ও অবরোধ করেন এবং তাদেরকে অঙ্গীকার করতে বলেন। ইহুদীরা অঙ্গীকারে অস্বীকৃতি জানালে মুসলমানরা যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। পরদিন বনু নযীর গোত্রকে অব্যহিত দিয়ে, বনু কুরায়যার উপর আক্রমন করেন। বনু কুরায়যা নবীর সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হলে, নবী কুরায়যাকে ছেড়ে বনু নযীরকে পুন. আক্রমন করেন। বনু নযীরের লোকেরা ‘ইহুদী ধর্মপ্রেমে’ বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করে ও বনু নযীরের খেজুর বাগান নবীর দখলে আসে (আবু দাউদ-২৯৯৪), পরবর্তীতে মতবিরোধের কারণে বনু কুরায়যার সাথে মুসলমানদের আবার যুদ্ধ লাগে এবং যুদ্ধের পরিণতি হিসেবে ইহুদী পুরুষদের হত্যা, মহিলা+শিশু+মালামাল মুসলমানদের মধ্যে গনিমাতের মাল হিসেবে বন্টন করা হয় (আবুদাউদ-২৯৯৫)।

আবওয়া ও ওয়াদ্দান-এ নৈশ আক্রমণের সময় নবীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মুশরিকদের নারী-শিশুদেরও কি হত্যা করা হবে? নবী বলেছিলেন, এরাও তো মুশরিক (বুখারী-২৭৯১),
খালিদ ইবনে ওয়ালিদের নেতৃত্বে একদল মুসলিম যামিয়াহ গোত্র অভিযানে গেলে, গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করলো কিনা এমন কথা সুষ্পষ্ট না করে কেবল বললো, ‘সাবানা, সাবানা’, যার মানে ‘আমরা পুরাতন ধর্ম ত্যাগ করেছি’। কিন্তু খালেদ অনেককেই হত্যা করলেন ও সাহাবাদেরও হত্যার নির্দেশ দিলে ঘটনাটি নবীর কাছে উপস্থাপিত হলে নবী বলেন, খালেদ যা করেছে তার জন্যে আমি নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করছি (বুখারী-৬৬৮৬)।

লেখাটি প্রস্তুতে বিভিন্ন ব্লগ ও নেট থেকে তথ্য সহায়তা নেয়া হয়েছে)
[এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত পোস্ট পাবেন আজই পরবর্তী পর্বগুলোতে। এরপর পর্ব ৫ ]

https://www.facebook.com/logicalbengali/posts/1552816101619207:0

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন