শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

২০১৪ সনের প্রথম দিনে ইহুদী-মুসলিম শান্তিচুক্তি-১ # ৭৭

২০১৪ সনের প্রথম দিনে ইহুদী-মুসলিম শান্তিচুক্তি 
[ইহুদি মুসলিম কনফ্লিক্ট ও সমাধান বিষয়ক বড় আর্টিকেল] পার্ট-১
বড় হওয়ার কারণে ২ পর্বে ভাগ করা হলো (এরপর পর্ব-২)

স্বপ্নময় বিশ্ব নাগরিক হিসেবে পৃথিবীর সকল দেশেই আজ উৎসবের আমেজ। মহাকাশে আলোকজ্জ্বল রাতে নক্ষত্রের চাঁদেরা শুরু করেছে আনন্দ কেলি। আগামীকাল পহেলা জানুয়ারি সকল দেশেই পালিত হবে হবে এক অনন্য নববর্ষ। বিশ্বশান্তির জন্যে এ নববর্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ ৬৩-বছর ব্যাপি ফিলিস্তিন-ইসরাইলী তথা ইহুদী-মুসলমানরা নিজেদের মানবিক রাক্ষসকে ঝেড়ে ফেলে শুভ্রতায় ফিরে আসছে আজ এক মায়াবতী জ্যোৎস্নায়। যা করাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে একান্ত আন্তরিকতায় কাজ করতে হয়েছে। ইহুদী-মুসলমান ২-পক্ষই নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যত শান্তির পৃথিবী গড়ার মানসে সব অতীত ক্লেদ ভুলে একটি শান্তিচুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। আজ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ রাত ১১.৫৯ মিনিটে তা স্বাক্ষর করা হবে এবং পৃথিবীর সকল মানুষ এই চুক্তিকে নববর্ষের উৎসব হিসেবে পালন করবে বিশ্বব্যাপী। পৃথিবীর ১০-টি দেশের ১০-জন রাষ্ট্রপ্রধান ও ২-পক্ষের ২-জন এটোর্নী দীর্ঘ ২০-দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিবাদমান ২-পক্ষের মধ্যে যে সম্প্রীতির সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে, তাতে তাদের ধারাবাহিক ২০-দিনের ক্লান্তিকর কর্মযজ্ঞের মাঝেও সবাই এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু এ অসম্ভব কাজটি কি দুরূহ পথেই না তাদের সম্পন্নের দিকে এগুতে হয়েছে ক্রমান্বয়ে, যা চিন্তা করলেও অনেকেই এখন বিস্ময়ে বিমুঢ় হন, পেছনে ফিরে তাকান কেউ কেউ।

২০১৪ সনের প্রথম দিকে কাকতালীয়ভাবে পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর সকল রাষ্ট্রেই রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে চিন্তাশীল শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো নির্বাচিত হয়। পৃথিবীর দীর্ঘদিনের অশান্তি পর্যবেক্ষণে তারা অনুধাবন করেন যে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা বিশ্বের উন্নয়নের অন্তরায় ও মানবিকতার পরিপন্থী। যে কোন ভাবে এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারলে ২০১৪ সালের পৃথিবী হবে একটি শান্তির বিশ্ব। ইসরাইল-ফিলিস্তিনসহ বিশ্ব নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই অধিকার আছে পৃথিবীতে শান্তিতে বসবাসের। এ চিন্তা থেকে পৃথিবীর পরাশক্তিগুলো সম্পূর্ণ সৎদৃষ্টিভঙ্গীতে ৫-টি নিরপেক্ষ মুসলিম ও ৫-টি নিরপেক্ষ অমুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে। ১০-টি দেশের ১০-সদস্য ছাড়াও ইসরাইল-ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের বক্তব্য, অভিযোগ ও দাবীনামা পেশ করার জন্যে ২-জন এটোর্নীর নাম চাওয়া হয়, যারা স্ব-স্ব দেশের পক্ষে যৌক্তিক অভিযোগ ও দাবীনামা পেশ করবে এবং বিপক্ষের দাবীর খণ্ডণ করবে বা পাল্টা যুক্তি দাঁড় করাবে। যুক্তিতর্ক পেশের পর কমিটির নিরপেক্ষ ১০-সদস্য তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে এবং উভয় পক্ষের জন্যে তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক হবে।

মুসলিম দেশের পক্ষে ৫-জুরি হিসেবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, বাংলাদেশ, মরক্কো ও আলজিরিয়া এবং অমুসলিম দেশ হিসেবে বেলজিয়াম, সুইজ্যারল্যান্ড, কোরিয়া, বেলিজ ও নিউজিল্যান্ডকে মনোনীত করা হয়। ফিলিস্তিনের পক্ষে এটোর্নী হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিম নাগরিক ড. কামাল হোসেন এবং ইসরাইলের পক্ষে বেলজিয়ামের ইহুদী নাগরিক ড. ইসরাইল ওয়েলফিন্সন-কে নির্বাচন করে দু’টো দেশ। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জাতিসংঘের সদর দফতরে বসে বিশেষ এ ‘শান্তি চুক্তি আদালত’। অনুষ্ঠানটি সকল মানুষই যাতে দেখতে পারে, তার জন্যে বিশ্বের সকল দেশেই সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয় নিউইয়র্ক থেকে। ১০-দেশের রাষ্ট্রপ্রধান জুরি হিসেবে ২-পক্ষের এটোর্নীকে তাদের অভিযোগ, দাবী ও প্রস্তাবনা পেশের আহবান জানান। লটারীতে প্রথম বক্তব্য পেশের সুযোগ পান ফিলিস্তিনি এটোর্নী ড. কামাল হোসেন। কারিগরী শৈল্পিকতায় ভাষা প্রয়োগ দক্ষতায় বক্তব্য শুরু করেন তিনি : –

আরব ও ইহুদীরা উভয়ই ঐতিহাসিকভাবে নুহের ছেলে শামের সেমিটিক জাতির বংশধর। নবী ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাইলের বংশধারা থেকে আরব ও ইসহাকের বংশধারার লোকেরা ইসরাইল নামে পরিচিত, সে হিসেবে প্রকৃত পক্ষে উভয় জাতিই ভাই-ভাই। ফিলিস্তিন রাজ্যটি ১৩’শ খ্রী.পূর্ব থেকে ১ম শতাব্দী পর্যন্ত ইহুদীরা, এরপর রোমানরা, বাইজান্টাইনরা, পারস্যের সাসানিয়রা ও মুসলিম খলিফা ওমরের শাসনামলে ৬৩৭ খ্রী. মুসলমানরা নিয়ন্ত্রণে নেয়, পরবর্তীতে ক্রুসেডারদের যুদ্ধে খ্রীস্টানদের কাছে যায়, পুন. ১১৮৭ সনে আবার মুসলমানরা দখলে নেয়। ১৩০০ সালের পর আবার খ্রীস্টানদের হাতে যায় ফিলিস্তিন। ১৯১৮-১৯৪৮ পর্যন্ত বৃটিশ শাসনে থেকে তা ইহুদীদের শাসনে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের আয়তন ছিল ১০,৪২৯ বর্গমাইল। ১৯৪৮ সনে ফিলিস্তিন এলাকার পরিমাণ ছিল ২৬,৩২৩ বর্গকি.মি। মোট জনসংখ্যা ছিল ৭৭-লাখ, যার ৭৬% ছিল ইহুদী, ২১% আরব মুসলমান। বর্তমানে গাজার আয়তন ৩৬০ বর্গকিমি, দৈর্ঘ্য ৪১-কিমি। পশ্চিমতীর ২,৩৯০ বর্গকিমি। ইউরোপে হিটলার ও খ্রীস্টানরাও ইহুদীদের হাজার বছর ধরে নির্যাতন করেছিল। আমরা জানি হলোকষ্টে ইউরোপে ৬০-লাখ ইহুদী নিহত হয়, তার জন্যে মুসলমানরা বা ফিলিস্তিনিরা দায়ী নন।

১ম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান আবিস্কৃত কৃত্রিম ফরফরাসের বিনিময়ে তিনি বৃটিশদের কাছে ‘নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস’ তথা ‘ইহুদী রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে প্রকাশ করলে বৃটেন তা সমর্থন করে কিন্তু তা স্থাপনের কথা ছিল আফ্রিকায়, ফিলিস্তিনে নয়। ১৯১৭ সনে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.জে বেলফোর দখলকৃত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে একটি ইহুদী রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ফলে বেলফোর ঘোষণা মোতাবেক ইউরোপ থেকে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে, যার সংখ্যা তখন ছিল মাত্র ২০,০০০ কিন্তু ১৯৪৮-এ তা ৬-লাখে উন্নীত হয়। ইহুদীরা ১৯১৮ সনে গঠন করে ‘হাগানাহ’, ‘ইরগুন’ ও ‘স্ট্যার্ন গ্যাং’ নামে ৩-টি সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত থাকতো সব সময়। ১৯৪০-সনে ‘হানাগাহ’ ফিলিস্তিনিদের নামে হাইফা বন্দরে প্যাটৃয়া জাহাজে ২৭৬-ইহুদী হত্যা ও ১৯৪২ সনে ফিলিস্তিনে আগত ৭৬৯-জন ইহুদীকে হত্যা করে তার দায় চাপায় ফিলিস্তিনিদের উপর, যাতে বিশ্ব জনমত ফিলিস্তিনিদের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে মনে করে। ১৯৪৭-সনে জাতিসংঘ ১৮১-নং প্রসস্তাবে ফিলিস্তিনের ৫৫% স্থান নিয়ে ইসরাইল ও ৪৫% স্থান ফিলিস্তিনীদের জন্যে বরাদ্দ করে। যদিও ফিলিস্তিনিরা ইহুদীদের চেয়ে তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, সে কারণে তারা নিজেদের রাষ্ট্র বলে দাবী করতে থাকে নিজেদের বসবাসকারী রাষ্ট্র হিসেবে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের দাবী অগ্রাহ্য হলে আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয় কমপক্ষে ৩-টি।

১৯৪৮ সনে আরব ইসরাইল যুদ্ধে ইহুদীরা ফিলিস্তিনী ‘দাইর ইয়াসিন’ গ্রামে ৬০০-জন অধিবাসীর মধ্যে ১২০-জন মুসলমানকে হত্যা করে। ইহুদীরা ফিলিস্তিনের ৫০০-গ্রামের মধ্যে ৪০০-টি জনশূন্য করে ফেলেছিল। এই যুদ্ধে সকল আরব মিলে ৬৮,০০০ ও ইসরাইল একাই প্রায় ৯০,০০০ সৈন্য সমাবেশ ঘটায়, তাদের সকল যুবকের যুদ্ধ যোগদান বাধ্যতামূলক ছিল। ১৯৪৮-এর যুদ্ধে ইসরাইলী ৮০০০ ও আরব ৮০০০-১৫০০০ সৈন্য নিহত হয় ও ৪-লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়ে পাশের দেশে যায়। পক্ষান্তরে ইসরাইল তার সীমানা সুরক্ষিত করে নানাভাবে। ১৯৬৭-সনে ইসরাইলী আক্রমনে ৪,০০,০০০ ফিলিস্তিনি বাস্তুহারা হয়। এ যুদ্ধে ইসরাইল সিরিয়ার গোলান, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, জেরুজালেমের পূর্বাংশ দখল করে নেয়। ফলে জাতিসংঘ রবাদ্দকৃত ৪৫% ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডও ইসরাইলি দখলে চলে যায়। এ যুদ্ধে জেরুজালেম ভাগ হয়ে পশ্চিম জেরুজালেম ইসরাইলের ভাগে ও পূর্ব জেরুজালেম জর্ডানের পশ্চিম তীরে পড়ে। ওখানের ফিলিস্তিনিরা লেবানন, জর্ডান, সিরিয়ায় শরণার্থী হিসেবে মানবেতর জীবন কাটাতে থাকে। ১৯৬৭-এর যুদ্ধে ১ম আক্রমনকারী হিসেবে ইসরাইল মিশরের ৫০% যুদ্ধ বিমান ধ্বংস করে দেয়। মিশর থেকে সিনাই ও গাজা, জর্ডানের পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম, সিরিয়া থেকে গোলান উপত্যকা দখল করে। ঐ যুদ্ধে ইহুদী যোদ্ধা ছিল ২,৬৪,০০০, আর আরব যোদ্ধা ছিল ৫,০০,০০০-জন। আরব পক্ষে ২০,০০০ যোদ্ধা ও ৪৫০টি যুদ্ধ বিমান ধ্বংস হয়, ইহুদী পক্ষে ১,০০০ যোদ্ধা ও ৪৬-টি বিমান ধ্বংস হয়। পুনরায় ১৯৭৩-এ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ লাগে।

ইহুদী ধর্মের পবিত্র দিনে মিশর ও সিরিয়া একত্রে ইসরাইল আক্রমন করে। আরব পক্ষে ৮-১৫০০০ নিহত, ৩৫০-৫০০ যুদ্ধ বিমান ধ্বংস; ইহুদী পক্ষে ৩০০০ নিহত, ১০২-টি যুদ্ধ বিমান ধ্বংস হয়। ক্যাম্প-ডেভিড চুক্তির আওতায় মিশর ‘সিনাই’ ও সিরিয়া ‘গোলান’ মালভূমি ফিরে পায়। ১৯৮২ সনে লেবাননে যুদ্ধ করে ইসরাইল ১৭,৫০০ মানুষকে হত্যা করে। ঐ সময়ে লেবাননের ‘শাবরা-শাতিলা’ শিবিরে হামলা চালিয়ে ইসরাইল ১,৭০০ নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করে। ১৯৮৬ সনে তিউনিসে আক্রমন চালিয়ে ইসরাইল হাজারো মানুষকে হত্যা করে। ১৯৯৬ সনে আবার লেবাননে আক্রমন করে হত্যা করা হয় ১০৬-জন ফিলিস্তিনিকে। ২০০৮ সালে গাজায় আক্রমনে ৪১০ ফিলিস্তিন শিশু, ১৩০০ নারীসহ বহু লোক নিহত হয়। ২০১১ সনে মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা একটি তুর্কী জাহাজে হামলা করে ইসরাইল ৯-জন তুর্কী নাগরিককে হত্যা করে। এই গত নভেম্বর’১২-তে গাজায় অব্যাহত ১-সপ্তাহের ইসরাইলী হামলায় নিহত হয়েছে ফিলিস্তিন শিশু-নারীসহ শতাধিক নিরস্ত্র মানুষ। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনাহিম নেতানিয়াহু ৭৫-হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে তলব করেছেন গাজার নারী-শিশুদের হত্যার জন্যে। ৬৩-বছরের বাস্ত্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের হৃদয়ের অন্তহীন কান্না এখন শুনতে হবে ইহুদীদের।

ইসরাইলী পলিসিতে এখন ২-টুকরো ফিলিস্তিন গাজায় হামাস ও পশ্চিম তীরে ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত। গাজার গরিব ফিলিস্তিনিদের সাথে পশ্চিম তীরের তুলনামূলক ভাল অবস্থানের ফিলিস্তিনিদের কোন বৈবাহিক সম্পর্ক বা কোন আদান প্রদান নেই। ইসরাইলে ৭.১ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে বর্তমানে ১.৬ মিলিয়ন আরব মুসলমান বাস করে। গাজা আর পশ্চিম তীরসহ মোট আরবের সংখ্যা ৫.৫-মিলিয়ন, যা ইসরাইলী মোট জনসংখ্যা ৫.৫ মিলিয়নের সমান। ১৯৭৪ সনে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে মর্যাদা দেয় যার ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মর্যাদা পায় ২০১২ সনের নভেম্বরে। ১৯৮৮ সনে আলজিয়ার্সে ফিলিস্তিন প্রবাসী সরকার গঠিত হয়। বর্তমানে দেশ হারিয়ে অনেক ফিলিস্তিনিরা নানাবিধ মনোরোগ ও হতাশায় ভুগছে। আমেরিকা এ পর্যন্ত ইসরাইল বিরোধী ৩০-টি প্রস্তাবে জাতিসংঘ ভেটো প্রদান করেছে। ১৯৪৮-সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ইসরাইল এখন বিশ্বে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে অনেক। আমেরিকা, রাশিয়া, বৃটেনসহ অনেক দেশই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইহুদী হলেই ইসরাইলী নাগরিকত্ব পাওয়া যায় ইসরাইলে কিন্তু মুসলমান হলে বিদ্বেষী ভাব কেন?

বর্তমান বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৫৭-কোটি। প্রধান আরব দেশ গুলো হচ্ছে মিশর, আলজিরিয়া, মরক্কো, ইরাক, সুদান, সৌদি আরব, ইয়ামেন, সিরিয়া, তিউনেশিয়া, সোমালিয়া, সংযু্ক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, জর্ডান, লেবানন, মৌরিতানিয়া, ওমান, কুয়েত, কাতার, বাইরাইন, জিবুতি, কমোরস। ৩৫-টি দেশ মুসলিম জনসংখ্যা প্রধান। অপরদিকে পৃথিবীতে ইহুদী মাত্র ১-কোটি ৪-লাখ। ৫-জন মুসলিম : ১-জন ইহুদী। ২৮টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ফিলিস্তিনিরা যেহেতু ইহুদীদের কারণে তাদের দেশছাড়া হয়েছে ও তাদের উপরে বর্ণিত হত্যা ও জুলুম অব্যাহতভাবে চলছে, সে কারণে এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানাবো জুরি বোর্ডের কাছে, ফিলিস্তিনিরা যেন তাদের পিতৃভূমিতে ফিরে গিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।

পরবর্তী অংশ পর্ব-২

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন