শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইসলামি জান্নাতের লোভনীয় বর্ণনা # ৬২

ইসলামি জান্নাতের লোভনীয় বর্ণনা

এ ধর্ম মতে মৃত্যুর পর জান্নাত হবে ৮টি স্তর বা গ্রেডের। জান্নাতীদের উচ্চতা হবে ষাট হাত লম্বা এবং তাদের ঘাম থেকে মিশকের গন্ধ বের হবে। প্রত্যেককে ২-জন করে স্ত্রী দেয়া হবে, সাধারণ জান্নাতিও ৮০-হাজার খাদেম ও ৭২-জন হুর পাবে। জান্নাতে স্বর্ণখচিত আসন; উন্নত যৌবনা অপ্সরা; পবিত্র মদ; রেশমের আস্তর বিশিষ্ট ফরাস; কণ্টকহীন কুলবৃক্ষ; সম্প্রসারিত ছায়া; স্বচ্ছ শীতল পানি; দুধ ও মধুর স্রোতধারা; মাছের কলজে; পাখির মাংস; আংগুর-জয়তুন-ডুমুর জাতীয় ফল; স্বর্ণের চিরুণী; সুগন্ধময় ধূপদানী; উরুর হাড় মাংসের ভেতর দিয়ে দেখা যায় এমন [ট্রান্সপারেন্ট] স্ত্রী; ফাঁপা মুক্তার তৈরী ৬০-মাইল উচ্চতা বিশিষ্ট তাবু, যার প্রত্যেক কোনে থাকবে আয়তলোচনা (হুর) অপ্সরীরা; উচ্চতর বৃক্ষ, যা ১০০ বছরেও একটি দ্রুতগামী ঘোড়া দৌঁড়ে অতিক্রমে অক্ষম; শুক্রবারে বিশেষ বেহেস্তি বাজারের আয়োজন; অমর অধিবাসি; চিরকালিন সুস্থ্যতা; চিরযৌবনময়তা; চির সুখসময় ভোগের সামগ্রী ইত্যাদি। জান্নাতের তাবু হবে মোতির গাঁথুনি দেয়া;; বাসিন্দাদের আংটি আগরবাতির ন্যায় জ্বলজ্বল করবে; দরজা হবে ৮-টি, এর ভবনের ইট হবে মোতি নির্মিত ও মাটি হবে মেশক-এর (বোখারী-৩০০৩-৫,১৪,৮১,৯৫)।

আদন বেহেস্তের ঝরণায় ডুব দিলে কুৎসিত ব্যক্তিরও সুশ্রী মানুষে রূপান্তর ঘটবে (বুখারী-৪৩১৩)। সকল পাত্র ও জিনিস স্বর্ণ-রৌপ্য নির্মিত হবে (বুখারী-৪৫১২)। হাউজে কাওসার নামক নহরের তীরে ফাঁপা মোতির তৈরী তাবু পাতা থাকবে (বুখারী-৪৫৯৫)। ‘বালাম’ ও ‘নুন’ (ষাঁড় ও মাছের কলজের অতিরিক্ত অংশ) হবে জান্নাতিদের তরকারি (বুখারী-৬০৭০)। হাউসে কাউসারের পানি হবে দুধের মত সাদা, ঘ্রাণ হবে মৃগনাভীর চেয়ে অধিক, পান-পাত্র হবে নক্ষত্রের ন্যায় উজ্জ্বল (বুখারী-৬১২২)। হাউসের দূরত্ব/দৈর্ঘ হবে মদীনা থেকে সানা’র দূরত্বের সমান (বুখারী-৬১৩২)। ২-টি জান্নাতের পানপাত্রসহ সব কিছুই হবে সোনার, আবার ২-টি জান্নাতের পানপাত্রসহ সব কিছুই হবে রূপার (বুখারী-৬৯২৬)। ইসলামের নবীকন্যা ফাতিমা জান্নাতী নারীদের নেত্রী হবেন (বুখারী-৩৩৫৪)। জান্নাতের প্রতিটি গাছের ডালপালা স্বর্ণের তৈরী, কক্ষগুলো হবে ট্রান্সপারেন্ট, একশত স্তর বিশিষ্ট, ৭০-জোড়া কাপড়ের ভেতর থেকে জান্নাতী নারীর পায়ের গোছার উজ্জ্বলতা দেখা যাবে।

প্রত্যেক পুরুষকে ১০০-জনের সমান যৌনশক্তি দেয়া হবে; জিনিসপত্র সূর্যের চেয়ে বেশি আলোকজ্জ্বল; অধিবাসীর দেহে লোম, দাঁড়ি-গোফ থাকবেনা; চোখে সুরমা লাগানো থাকবে; কাপড় কখনো পুরণো হবেনা; আসমান-যমীনের সমান সুউচ্চ বিছানা থাকবে; গাছের ফল হবে মটকার মতো; পতঙ্গগুলো হবে সোনার; পাখিগুলোর ঘাড় উটের ঘাড়ের মতো উঁচু হবে; ডানাওয়ালা মনিমুক্তার উড়ন্ত ঘোড়া থাকবে; অধিবাসী যুবকদের বয়স হবে সকলের ৩০-৩৩ বছর; প্রবেশদ্বার হবে দ্রুতগামী ঘোড়ার ৩-দিনের পথ; জান্নাতবাসীরা মেশক, কস্তুরী ও কর্পুরের স্তুপের উপর আসন পাবে; আল্লাহকে তারা সামনা সামনি দেখবে, কথা বলবে ও আল্লাহ তাদেরকে ‘অমুকের পুত্র অমুক’ বলে ডাক দেবে; মেঘ ছায়া দেবে ও সুগন্ধীযুক্ত বৃষ্টি বর্ষাবে।

বেহেস্তি বাজার থেকে ফিরে এসে নিজ নিজ স্ত্রীদের সাক্ষাত মিলবে; জান্নাতি বাজারে শুধু নারী-পুরুষের প্রতিকৃতি বিক্রয় হবে; সাধারণ জান্নাতির জিনিসপত্র দেখতে চাইলেও তা হাজার বছরের দূরত্বের রাস্তার সমান হবে; বাইরে কষ্ট মুছিবতের জিনিস দ্বারা বেহেস্ত পরিবেষ্টিত থাকবে;যমরুদ ও ইয়াকুতের তাবু থাকবে; মাথায় মুক্তাখচিত মুকুট পড়ানো হবে; পানি, মধু, দুধ ও শরাবের সাগর থাকবে; হুর-রা সমবেত হয়ে গান গাইবে; জান্নাতে মুসলমানদের থাকবে ৮০টি কাতার ও অন্য সকল নবীদের থাকবে ৪০টি কাতার (তিরমিযী-২৪৬২-২৫১০)। হাওযে কাওসারের পানপাত্রের সংখ্যা হবে গ্রহ ও তারকারাজির সংখ্যার চাইতেও বেশি; জান্নাত বিস্মৃতি হবে কুফা থেকে হাজরে আসওয়াত পর্যন্ত (তিরমিযী-২৩৮৭); জান্নাতের সুগন্ধ ৪০-বছরের দূর থেকেও পাওয়া যাবে (বুখারী-৬৪৩৪)। জান্নাতের সুবাস ৭০-বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে (তিরমিযী-১৩৪৩)।
ছবি :
প্রাক ইসলামি হুবল গড

1 টি মন্তব্য:

  1. জান্নাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে কি না। থাকবে না। কারণ ইন্টারনেট তো আল্লাহর নবীর কল্পনাতেও ছিল না। জান্নাত বিস্তৃতি হবে কুফা থেকে হাজরে আসওয়াত পর্যন্ত যেমন মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।

    উত্তরমুছুন