সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

২০১৫ সন পূর্ববর্তী বিশ্বের মানুষের ধর্ম ও মানুষের পরিসংখ্যান : ধর্মপর্ব-৩ # ১২২

২০১৫ সন পূর্ববর্তী বিশ্বের মানুষের ধর্ম ও মানুষের পরিসংখ্যান : ধর্মপর্ব-৩ 
 
 
২০১৫ সনের পৃথিবীর প্রায় সাত’শ কোটি মানুষের মধ্যে খ্রীস্টান ধর্ম অনুসারী ছিল ৩৩%, মুসলমান তথা ইসলাম ধর্ম অনুসারী ছিল ২১%, ধর্ম স্বীকার করতোনা এমন নাস্তিক বা বস্তুবাদী ১৬%, হিন্দু ধর্ম অনুসারী ছিল ১৪%, আফ্রিকান ট্রেডিশনাল মিশ্র ধর্ম অনুসারী ছিল ৫%, চাইনিজ ট্রাডিশনাল ধর্ম অনুসারী ছিল ৬%, বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারী ছিল ৬%, শিখ ধর্ম অনুসারী ০.৩৬%, ইহুদী (Judaism) ধর্ম অনুসারী ০.২২%, লৌকিক ধর্মানুসারী ৩.৯৭%, নিউ ধর্মানুসারী ১.৬৮%, বাহাই ০.১২%, কনফুসিয়াস ০.১০%, জৈন ০.০৭%, শিন্টো ০.০৪%, তাও ধর্ম ০.০৪%, জরথ্রুস্ট ০.০৪%, অন্যান্য মিশ্র লৌকিক ধর্ম ০.০২%, কোন ধর্ম অনুসারী নয় ১১.৯২%, নাস্তিক বা ধর্মহীন ২.৩৫% মানুষ বসাবাস করতো ২০১৩ পূর্ববর্তী প্রাচীন বিশ্বে। পৃথিবীতে নাস্তিক, বস্তুবাদী তথা ইহবাদী, জুচে (এটি কোন ধর্মে বিশ্বাস না করে ইহবাদী মত প্রচার করতো) এমন মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১০ কোটির মত। চীনা লোকধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ৪০-কোটি মানুষ। এ ছাড়াও ২০১৩ সনের পৃথিবীতে পেগান, সামানবাদী ধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ৩০-কোটি মানুষ। 

আফ্রিকান সনাতন ধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ১০-কোটি মানুষ। (যার মধ্যে প্রকৃতি, সূর্য, পশু ও বৃক্ষ উপাসক কমপক্ষে ৬৮টি উপজাতি এ ধর্ম মিশ্র পদ্ধতিতে পালন করতো, যেমন কালাহারীর ব্যুশম্যান; কঙ্গো ও জায়ারের পিগমী; নাইজিরিয়ান প্যাগান, বাগান্ডা, কিকুই, বান্টু, জুলু, বেচুয়ানা, বাসুতো; সাহারার তুরাগ ও ফুলানি; গিনির মালিঙ্কি, সুসু; সিয়েরা লিওনের ক্রিয়োলেরা, ম্যান্ডে, টেম্নে, ইয়াঙ্কুনা; লাইবেরিয়ার ভাই, ত্রম্নু, গোলা, পিলি; আইভোরি কোস্টের আসান্তি, কোয়াকোয়া, সেনুফো, দান, গুরো; টোগোর ইউই, আজাগুয়াটি, কাবরাই-লোসো; ডাহোমির ডাহোমীয়, আজা, আইজো, বারিবা, ইওরুবা, সোম্বা; নাইজেরিয়ার হসা, তিভ, ন্যুভ, ইবো, ইবিবিও; কঙ্গোর বাটিকি, বোসি, সাংহা; জায়ারের কোঙ্গো, মোঙ্গো, বালুবা, বালুন্ডা; রোডেশিয়ান বান্ট;, লেসোথোর বাসুতো; রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডির বাহুতু, তুতসি, তোয়া; ইথিওপিয়ান বেজা, দানকালি, গালা, সোমালি, আমহারা, ফালাসা, নাইলোট নিগ্রো; মালাগাসির বেৎসিলিও, হোভা ইত্যাদি ক্ষুদ্র উপজাতি)। এ ছাড়াও আফ্রিকার ‘Yoruba’ ট্রাডিশনাল ধর্ম অনুসারী ছিল কমপক্ষে ২-কোটি মানুষ। 

আফ্রিকান পিগমীরা আবার দেবতা হিসেবে পুজাঁ করতো ‘বনদেবতা’ মোকুন্ডিকে। সবচেয়ে শক্তিশালী মোকুন্ডির নাম ছিল ‘এজেঙ্গি’ দেবতা! ২০১৩ পূর্ববর্তী প্রাচীন পৃথিবীতে আত্মাবাদ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ, যার শুরু হয়েছিল ১৯ শতকে। ‘কাওদাই’ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল ৪০ লাখ, শুরু হয়েছিল ১৯২৬ সনে। ‘ফালুং গং’ অনুসারী ছিল প্রায় ২১ লাখ, শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সনে। ‘টেনরিকিও’ সম্প্রদায় ছিল প্রায় ২০-লাখ, সূচনা ১৮৩৮ সনে। ‘নব্য পেগান’ ছিল প্রায় ১০ লাখ, শুরু হয়েছিল ২০-শতকে। ‘সর্বজনীনতাবাদী’ অনুসরণকারী ছিল প্রায় ৮-লাখ, শুরু ১৯৬১ সনে। ধর্মীয় ‘রাসটাফারি’ আন্দোলন অনুসারী ছিল ৬-লাখ, শুরু ১৯৩০ সনে। ‘সাইন্টোলজি’ মতবাদী ছিল ৫০-লাখ, শুরু ১৯৫২ মসে। ‘Santeria ছিল আরেকটি ট্রাডিশনাল ধর্ম, যার অনুসারী ছিল প্রায় ৮-লাখ। এ ছাড়াও আরো যে সকল অপ্রধান ধর্ম মানুষ অনুসরণ করতো তা হচ্ছে, Voodoo-Vodoun ধর্ম যা পালিত হত হাইতি, কিউবা ও বেনিনে। Spiritism ধর্ম অনুসারীর সংখ্যা ছিলবিশ্বে কমপক্ষে ১ কোটি ১ লাখ। এ ছাড়াও Unitarian-Universalism ধর্ম অনুসারী ছিল ৫০ লাখ,Mandeans ধর্ম অনুসারী ছিল ৪৫,০০০, Ch'ondogyo ধর্ম অনুসারী ছিল ৩০ লাখ, Wonbulgyo ধর্ম অনুসারী ছিল দেড় লাখ, Seicho-No-Ie ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ, Roma ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ,Primal-indigenous ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ এবং Tribal Religionists-Ethnic Religionists-Animists ধর্ম অনুসারী মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪-কোটি (চলবে) ।

[ চলমান --- এর পর পর্ব-১ ]
[এটি একটি রূপক রচনা। যার মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে আজকের স্বার্থবাদী, সাংঘর্ষিক, বিপদজনক, অসহায়, অন্ধকারাচ্ছন্ন,হানাহানিপূর্ণ পৃথিবীর পরিবর্তে এক চমকপ্রদ, বিজ্ঞানময়, উন্নত, আলোকজ্জ্বল, শান্তির পৃথিবীর প্রত্যাশা। লেখকের জ্ঞানচক্ষু বলে, অবশ্যই একদিন এমন পৃথিবী প্রতিষ্ঠা হবে যা থাকবে রাজনৈতিক, ভাষিক ও ধর্মীয় বিভাজনমুক্ত। যেখানে হিন্দু-মুসলমান বিভাজন থাকবে না, থাকবে না ইসরাইল ও মুসলিম নামে আলাদা দেশ। মানুষ মারণাস্ত্র উৎপাদন করবেনা মানুষেরই জন্য। তবে হতে পারে এটি হাজার বছর পরে কিংবা কিছুটা আগেই। কল্পিত লেখাটি সাজাতে গিয়ে লেখক চলে গেছেন ৩০১৩ সনের ঐতিহাসিকরূপে। তাদের চোখে দেখতে চেষ্টা করেছেন বর্তমান সময়ের কণ্টকপূর্ণ পৃথিবীকে। হাজার বছর ভবিষ্যতকালে গিয়ে ওখানে বসে বর্তমানকে অতীত বানানো কিছুটা কষ্টকল্পনা বৈকি! হয়তো লেখাটি অভিনব তথা নতুন চিন্তণের, যে কারণে মাঝে মধ্যে অযৌক্তিকতা চলে আসতে পারে কখনোবা! এ বিষয়ে মুক্তচিন্তাব্লগের বোধ্যা পাঠকের সুচিন্তিত সমালোচনা, মতামত, পরামর্শ প্রত্যাশা করি, যাতে পরবর্তী পর্বগুলো সংশোধিত হতে পারে প্রকাশের আগেই, ধন্যবাদ]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন