শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মধ্যপ্রাচ্যের নবীদের সিলসিলা এবং ইসলামে বর্ণিত “মিথ্যা বা ভন্ড" নবীর তালিকা: ৫৩

মধ্যপ্রাচ্যের নবীদের সিলসিলা এবং ইসলামে বর্ণিত “মিথ্যা বা ভন্ড" নবীর তালিকা: 
:
ইসলামে সব নবীকে “নবী” বলে স্বিকার করা হয়না, কাউকে কাউকে মিথ্যা, আবার কেউ কেউ ইসলামি মতে সত্য নবী। 
যেমন :
(১) ইসলামের নবীর সময়েই ছনাআয়ে ইয়ামানে আসওয়াদ আনাসী নামে এক লোক নবী দাবি করেছিল। ফিরুজ দাইলামী নামে এক মুসলিম এই ভন্ড নবীকে হত্যা করেছিলো।
:
(২) নবীর জিবদ্দশায় ইয়ামামা নামক জায়গায় মুসাইলামাতুল কাজ্জাব নামে এক লোক মিথ্যা নবী দাবি করেছিল । হযরত আবু বকর এর যামানায় তার সাথে মুসলমানদেও যুদ্ধেও ঘোষণা হয় । তখন রাসুল এর সাহাবী হযরত অহশী বিন হারব সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং উক্ত নবীকে হত্যা করেছিলেন ।
:
(৩) তুলাইহা আসাদী নামে এক লোক মিথ্যা নবী দাবি করেছিল । সে ছিল একজন গনক। বনী ইসরাঈলের কোন কোন কবিলার লোকেরা তার উপর ঈমান এনেছিল। কিন্তু পরবর্তিতে সে নিজেই খলিফা ওমর এর হাতে বায়াত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ।
:
(৪) সাজাহ বিনতে হারেস নামে এক মহিলা নবী দাবি করেছিল । মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল । তিন দিন মুসাইলামার সাথে থেকে যখন সে তার কওমের নিকট গেল, তখন কওমের লোকেরা তার বিবাহের মহর সম্পর্কে জানতে চাইল এবং বলল মহর ব্যতিত বিবাহ হয় না । অতঃপর সে মুসাইলামার নিকট গেল। মুসাইলামা তাকে বলল, তোমার মহর হিসাবে তোমার জামাতের লোকদের জন্য এশা ও ফজর এই দুই ওয়াক্ত নামাজ মাফ করে দিলাম । এই মহিলা পরবর্তিতে আমীরে মুয়াবিয়ার যামানায় ইসলাম গ্রহণ করে।
:
(৫) হযরত আব্দুল্লাহ বিন যোবায়ের (রাঃ) এর যামানায় মুখতারে সাকাফী নামে এক লোক নবী দাবি করেছিল ।
:
(৬) আরবের প্রসিদ্ধ কবি মুতানাব্বিও নবী দাবি করেছিল। পরবর্তিতে সে তওবা করেছে এবং মুসলমান হয়েছিল।
:
(৭) খলীফা মু’তামিদ বিল্লার যামানায় বাহবুদ নামে এক ব্যক্তি নবী দাবি করেছিল ।
:
(৮) খলীফা মুকতাফী বিল্লার যামানায় আকরওয়াতুল কুরমুতি নামে এক ব্যক্তি নবী দাবি করেছিল । সে হাজরে আসওয়াদ পাথর চুরি করেছিল
:
(৯) নাওয়াহে নিহাওয়ান্দ নামক স্থানে এক ব্যক্তি নবী দাবি করেছিল।
:
(১০) মুলকে ইয়ামানে এক ব্যক্তি নবী দাবি করেছিল ।
:
(১১) মুলকে ইয়ামানে আরেক ব্যক্তি নবী দাবি করেছিল। সে বলত আমার নাম লা । আর রাসূল বলেছেন আমার পর একজন নবী আসবে, যার নাম হবে লা । রাসূল বলেছেন লা নাবিয়্যা বা’দি । এই “লা” হইলাম আমি ।
:
(১২) আরেক জন মহিলাও নবী দাবি করেছিল । সে বলত রাসূল বলেছেন লা নাবিয়্যা বা’দি । রাসূল (সাঃ) একথা বলেননি, লা নাবিয়্যাতা বা’দি । অর্থাৎ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার পর কোন পুরুষ নবী আসবে না । কিন্তু কোন মহিলা নবী আসবে না এ কথা তিনি বলেননি অতএব মহিলা নবী আসতে পারে।
:
(১৩) এক ইহুদী বাইতুল মুকাদ্দাসে মাসিহ দাবি করেছিল তাকে গ্রেপ্তার করে পিটানো হয়েছিল । পরবর্তিতে সে তওবা করে মুসলমান হয়েছে । 
:
(১৪) বসরায় ইসহাক আখরাস নামে এক লোক নবী দাবি করেছিল এবং বসরা ও ওমানের লোকেরা তার উপর ঈমান এনেছিল ।
:
(১৫) মিশরে ফারেস বিন ইয়াহইয়া নামে এক লোক নবী দাবি করেছিল ।
:
(১৬) একজন বকরির রাখালও নবী দাবি করেছিল । আসলে সে ছিল একজন যাদুকর। মুসা এর মত তারও একটি লাঠি ছিল যার মাধ্যমে সে অজগর সাপ বানাতে পারতো ।
:
( ১৭) আব্দুল্লাহ বিন মাইমুন, খলীফা মামুনুর রশিদের যামানায় নবী দাবি করেছিল । খলীফা মামুন তাকে জেলখানায় আটকে রাখে অতঃপর সেখানেই সে মৃত্যু বরণ করে ।
:
(১৮) গাজানী নামে এক যাদুকর নবী দাবি করেছিল ।
:
(১ ৯) মীরজা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ১৪০০ হিজরির শুরতে নবী দাবি করেছিল, যার ভক্তবৃন্দ আজও রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতসহ নানাদেশে । 
:
(সূত্র : তিরমিযির মুতারজিম, লেখক মাওলানা বদিউজ্জামান পৃষ্ঠা-৮৪০)

:
ওহ ঈশ্বর, ভগবান, খোদা, জিউস, পসাইডন, বুদ্ধ, গড, যিশু, মোজেজ, আল্লাহ, যিহোবা, শিব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, নির্ধামিকের গড(জুকারবার্গ), কনফুসিয়াস, জরথ্রুস্ট, শিন্টো কামি কই যাই ?
:
[বাংলাদেশে মাঝে মাঝে অনেকে নবী কিংবা ইমাম মাহদী দাবী করে, তাদের হিসাব এখানে উল্লেখ করা হয়নি]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন