নাস্তিকের ধর্ম না মানা ভার্সাস আস্তিকের ধর্ম মানা এবং না মানা [পোস্ট # ৬]
সাধারণত ধার্মিক তাদের বলা হয়, যারা ধর্ম মানে। আর যারা তা মানে না এবং ষ্পষ্ট ভাষায় ধর্মকে অস্বীকার করে তারা নাস্তিক, অধার্মিক, নধার্মিক, বেধার্মিক বা ধর্মহীন হিসেবে চিহ্নিত।
কিন্তু আমাদের চারপাশে তাকালে অনেক ধার্মিক দেখবো, যারা ধর্মহীনদের ঘৃণা করে, নিজেরা ধার্মিক হিসেবে পরিচয় দেয় কিন্তু ধর্মের অনেক কথাবার্তাই মানে না কিংবা নিজের স্বার্থের টুকু মানে মাত্র। কিন্তু এ না মানার কথা তারা কখনো স্বীকার করেনা, বরং এসব কথা উঠলে চেপে যায় কিংবা নানারূপ ত্যানা প্যাচাতে থাকে। যেমন ধরুণ :
হাদিস :
১ : নবী (স.) বলেছেন, ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আব্দুর রহমান’ হচ্ছে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম (তিরমিযী-২৮৩৩)
২ : নবী (স) ‘আবুল কাসেম’ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম-৫৪০৩)
৩ : সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়ার দাদা ‘হাযন’-এর নাম পরিবর্তন করে নবী (স) ‘সাহল’ রাখলে হাযন বলে, ‘আমার পিতা প্রদত্ত নামটি আমি পরিবর্তন করবো না’ (বুখারী-৫৭৫২)
এখন আমাদের চারপাশে আমরা কি দেখি? নাস্তিকগণ উপরের হাদিসের উপর সঙ্গত কারণেই কোন বিশ্বাস না রেখে হয়তো তাদের নাম ‘আবুল কাসেম’ রাখতেও পারে, একইভাবে আল্লাহর পছন্দের বা প্রিয় নাম ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আব্দুর রহমান’ নাও রাখতে পারে। কিন্তু সঙ্গত কারণেই যুক্তিবাদী মানুষের প্রত্যাশা থাকবে, আস্তিকগণ তাদের নাম “আবুল কাসেম” রাখবে না, অপরদিকে ঘরে ঘরে ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আব্দুর রহমান’ নাম দেখা যাবে। কিন্তু ঘটনাটা কি এমন?
বাংলাদেশের ঘরে আবুল কাসেম এবং ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আব্দুর রহমান’ নামের সংখ্যার অনুপাত প্রায় সমানই। তা ছাড়া আল্লাহর প্রিয় নাম হওয়া সত্বেও ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আব্দুর রহমান’ নামও অন্যান্য অপ্রিয় নামের মতই সংখ্যানুপাতিক। ২০০০ ভোটার তালিকার নাম যাচাই করে দেখা গেছে, অন্যান্য সব নামের মতই ‘আবুল কাসেম, ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আব্দুর রহমান’ প্রায় একই পর্যায়ের। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও উপরোক্ত হাদিস মানা না মানার ব্যাপারে ধার্মিক আর নির্ধামিক প্রায় একই। তো ঘটনা কি দাঁড়ালো? উপরোক্ত হাদিস কি কেবল নাস্তিকগণই অগ্রাহ্য করছে? আস্তিকরা কি মানছে? এর জবাব কি আছে কারো কাছে? তাহলে নাস্তিক আর আস্তিকে প্রভেদ কি রইলো শুধু কথায়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন