রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বৈদিক ধর্ম : কত অজানারে ! # ৯৮

বৈদিক ধর্ম : কত অজানারে !

মৎস্য পুরাণ মতে, মনু সংহিতার রচয়িতা মনুর জন্ম ব্রহ্মা ও শতরূপার মিলন থেকে, শতরূপা ছিল আবার ব্রহ্মার কন্যা (পিতাপুত্রি মিলন?)। রামায়ণ অনুসারে, দেবতা ইন্দ্র গৌতমের ছদ্মবেশ ধারণ করে গৌতমের স্ত্রীকে এবং বিষ্ণু প্রতারণা করে জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দা ও শঙ্খচূড়ের স্ত্রী তুলসীকে ভোগ করেছিলেন। চন্দ্র দক্ষের ২৭-টি মেয়েকে একত্রে বিয়ে করার পরও ৬০ কোটি সর্গের অপ্সরা নিয়ে ফস্টিনস্টি অব্যাহত রাখেন, আবার দেবগুরু বৃহস্পতির স্ত্রী তারাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করলে জন্ম হয় ‘বুধ’-এর।

‘অথর্ববেদ’ সুপ্রসবের মন্ত্র, জ্বরের মন্ত্র, হৃদরোগ ও কুষ্ঠ রোগের মন্ত্র, শত্র“নাশের মন্ত্র, ক্রিমিরোগের মন্ত্র ইত্যাদি চিকিৎসা মন্ত্রে ঠাসা ছিল। মুণ্ডমালাতন্ত্র মতে, ছাগ বলি দিলে বাগ্মী, মেষ বলিতে কবি, মহিষ বলিতে সম্পদ বৃদ্ধি এবং নরবলি দিলে মহাসমৃদ্ধি লাভ হতো। তবে ব্রাহ্মণ নিজহাতে নরবলি দিলে নরকে পতিত হতো। এ ক্ষেত্রে চণ্ডালকে দিয়ে নরবলি দেওয়াতে হবে। যে চণ্ডাল ব্রাহ্মণের নির্দেশ মত নরবলি দেবে, তার মহাসিদ্ধি লাভ হবে। বলি দেয়ার আগে মন্ত্র পাঠ করতে হবে “হুঁ বাগীশ্বরীব্রহ্মাভ্যাং নমঃ”। বৈদিক যুগে ভারতে চৌষট্টি যোগিনীর শক্তিপুজো চলতো, যার মন্দির তখনো খাজুরাহ, জব্বলপুর, ভুবনেশ্বরে বিদ্যমান ছিল।

ছান্দোগ্য উপনিষদে চালু করা হয় ‘জন্মান্তরবাদ’। ‘জন্মান্তরবাদ’ মানে পূর্ব জন্মের কর্মফল। পুরাণ অনুসারে, সত্যযুগ ছিল ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার বছর, ত্রেতা যুগ ১২ লক্ষ ৯৬ হাজার বছর, দ্বাপর যুগ ৭ লক্ষ ৬৪ হাজার বছর, আর চলমান কলিযুগ স্থায়ী হবে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার বছর। সাকুল্যে পৃথিবীর মানুষের বসবাসের ইতিহাস ৩৮ লক্ষ ৮৮ হাজার বছর! যদিও বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে মানুষ বসবাসের ইতিহাস ১ লক্ষ বছরের বেশী নয়। বৈদিক অশ্বমেধ যজ্ঞে হাজার হাজার পশু বলি দেয়া হত। ভাগবত পুরাণে শিবকে উন্মাদ, শ্মশানচারী, অমঙ্গলকারী বলা হয়েছে। আবার হরিদ্রা ও মহা-গাণপত্যরা মনে করেন, গণেশ বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের স্রষ্টা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন