বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইসলামি শিরোচ্ছেদ (কতল-কিসাস) ও রজম : প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে [ পর্ব - ৫ ] # ১৪২

ইসলামি শিরোচ্ছেদ (কতল-কিসাস) ও রজম : প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে [ পর্ব - ৫ ]
এ লেখাটি ৭ পর্বে সমাপ্ত হবে, সম্পূর্ণ লেখাটির জন্যে এখানে চোখ রাখুন

সিরাতে রাসুল আল্লাহ মোতাবেক, তথাকথিত গুপ্তধনের সন্ধান বের করার জন্য কিনানা ইবন আল রাবীকে নির্যাতন করে অতঃপর তার শিরচ্ছেদ করা হয়।

সূত্রঃ Mubarakpuri (1996), The sealed nectar: biography of the Noble Prophet, p. 372.
Watt, W. Montgomery (1956). Muhammad at Medina. Oxford University Press. p. 218 (free online)http://www.archive.org/details/muhammadatmedina029655mbp
Ibn Hisham, Ibn Ishaq, Alfred Guillaume (translator). 1956. The life of Muhammad: a translation of Isḥāq’s Sīrat rasūl Allāh, pp. 145-146.

এছাড়াও আরো অজস্র হত্যাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নবী মোহাম্মদ বা সমর্থন করেছিলেন, তবে সেগুলোতে শিরচ্ছেদ শব্দটি স্পষ্টভাবে উল্লেখিত নেই বলে এখানে উল্লেখ করা হলো না। তবুও অনুসন্ধিৎসু মনের খোরাক মেটাতে লিংকটি দেওয়া হলো -
তথাকথিত ইসলামী স্বর্ণযুগ আব্বাসী-বাগদাদী খলীফা আমলের ইসলামী শরীয়াহ আইন বিচারক/জুরি আল মাওয়ার্দি ( মৃত্যুসাল ১০৫৮ ) বলেছেন কোরান ও সুন্নাহর আলোকে বিচারব্যবস্থা কার্যকর করা হতো এবং আমির/শাসক ৪ ধরনের বিচারব্যবস্থা থেকে যে কোনটি পছন্দ করতে পারতেন – শিরোচ্ছেদকরণ, দাসত্ব, মুক্তিপণ দাবী এবং ক্ষমাপ্রদান।
সূত্রঃ http://islammonitor.org
৭১১-৭১৩ সালে ইবেরিয়ান টোলেডোর খ্রিষ্টানদের গণহারে শিরচ্ছেদ করা হয়।
মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবুরের আত্মজীবনী বাবুরনামা থেকে পাওয়া যায় –
Those who were brought in alive [having surrendered] were ordered beheaded, after which a tower of skulls was erected in the camp.

এ ছাড়া হাদিসে বলা হয়েছে ---
নবীর নির্দেশে জারীর ইবনে আবদুললাহ খাসয়াম গোত্রের প্রতিমাপূজার মন্দিরকে দেড়শো অশ্বারোহীসহ ধ্বংস করার জন্যে যান এবং মন্দিরটি ধ্বংস ও আশেপাশের সবাইকে হত্যার খবর জানালে নবী জারীরের জন্যে দোয়া করেন (বুখারী-৩৫৪০)।
ইবন আবী সারাহ মক্কা বিজয়ের দিন ওসমানের সুপারিশে নবীর কাছে বায়াত নিতে আসেন কিন্তু নবী পরপর ৩-বার তার বায়াত গ্রহণে অস্বীকার করেন। ৪র্থ বারে ওসমানের অনুরোধে নবী তার বায়াত নেন ও বলেন, ‘‘এর মধ্যে কোন সাহাবা কেন তাকে হত্যা করলে না’’? (আবুদাউদ-২৬৭৪), [ওসমানের মতো কোন অনুরোধকারী না থাকাতে] নবী ইবনে খাত্তালকে (আবদুললাহ আবু বারযা) কাবার গেলাফ ধরা অবস্থায় হত্যার নির্দেশ দেন (আবুদাউদ-২৬৭৬)।
এক ব্যক্তি তার বকরীর পাল চড়াচ্ছিল, মুসলমানরা তার কাছে পৌঁছলে ঐ ব্যক্তি তাদেরকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দেয় কিন্তু মুসলমানরা সন্দেহবশত ঐ লোকটিতে হত্যা করে গনিমাত হিসেবে তার বকরীর পাল নিয়ে নেয় [এর প্রেক্ষিতে নাযিল হয়, ‘‘আর যে ব্যক্তি তোমাদেরকে সালাম দেবে, তাকে বলোনা, তুমি মুমিন নও’’] (বুখারী-৪২৩০)।
কোন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে যেনারত অপর পুরচষকে পেলে হত্যা করা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নবী বলেছিলেন, স্ত্রী দোষ স্বাীকার করলে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে। আর দোষ স্বাীকার না করলে স্বামী-স্ত্রী দুজনের লিআন (কসম) করার পর বিচ্ছেদ (তালাক) করে দিতে হবে (বুখারী-৪৯১৮-২৫)।
লেখাটি প্রস্তুতে বিভিন্ন ব্লগ ও নেট থেকে তথ্য সহায়তা নেয়া হয়েছে)
[এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত পোস্ট পাবেন কাল পরবর্তী পর্বগুলোতে। এরপর পর্ব ৬ ]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন