বৈশ্বিক সপ্তপদি ধর্মের অষ্টপদি বিস্ময়কর ধর্মকথার সিরিজ : ০১৭
দেবতা অর্ফিয়াস
:
প্রাচীন জিউস নির্ভর গ্রীসের সুর তথা গানের দেবতা এ্যাপোলো ও মিউজ ক্যাল্লোপির পুত্র অর্ফিয়াস ছিলো মহান কবি ও শিল্পী। তার গানে দেবতা, মানুষতো বটেই পশু-পাখিও মুগ্ধ হয়ে যেতো। তন্ময় হয়ে শুনতো অর্ফিয়াসের গান। সেই অর্ফিয়াস প্রেমে পড়লো সুন্দরি নিম্ফ কন্যা ইউরিডিসির। ইউরিডিসিকে না পেলে এ জন্ম ব্যর্থ, ভাবে সে। ইউরিডিসির মন জয় করতে অর্ফিয়াস তার সমস্ত হৃদয় গলে তৈরি করলো মন ভোলানো এক সুর। আর সেই সুরে হৃদয়ের সব কথায় গাইলো এমন এক গান, যে গানে মুগ্ধ হয়ে ইউরিডিসি তার মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ফেললো অর্ফিয়াসকে। তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে বিয়ে করবে। ধুমধামে বিয়ে হলো অর্ফিয়াস ও ইউরিডিসির। বিয়ের দেবতা হাইমেনাসও তাদের আর্শিবাদ করলো।
:
ভোজ শেষে অতিথিদের বিদায় জানিয়ে শেষে বাড়ি ফিরছিলো ইউরিডিসি অর্ফিয়াসের বাহুলগ্ন হয়ে। কিন্তু তারা জানতো না ঝোঁপের আড়ালে লুকিয়ে আছে মেষপালক এরিস্তায়াস। যে কিনা চুপচাপ ভালোবাসতো রূপসী ইউরিডিসিকে। আজ রাতেই অর্ফিয়াস আর ইউরিডিসি মিলিত হবে, এটা কিছুতেই হতে দিতে চায় না এরিস্তায়াস। এরিস্তায়াস এবার ভিলেন সেজে হত্যা করতে চাইলে ইউরিডিসিকে। হঠাৎ পা ফসকে ইউরিডিসি পড়ে গেলো এক সাপের গর্তে। আর তার পায়ের আঘাতে মারা যায় সেই গর্তে থাকা সাপের বাচ্চা। সাপ এতে রেগে গিয়ে দংশন করে বসে ইউরিডিসিকে। সাপের বিষে নীল হয়ে মারা যায় ইউরিডিসি। এ অবস্থা দেখে ভয়ে এরিস্তায়াস পালিয়ে যায়। ইউরিডিসিকে জড়িয়ে অর্ফিয়াস ভেঙ্গে পড়ে কান্নায়।
:
তার কান্নার করুন সুরে আকাশ-বাতাসে হাহাকার ওঠে। এবার এগিয়ে এলো এ্যাপোলো। কিন্তু কিছেুতেই শান্ত হতে পারে না অর্ফিয়াস। তাই ছুটে যান মৃত্যু দেবতা হেইডিসের কাছে। পাতালে যাওয়ার সুযোগ করে দিলেন এ্যাপোলো। ইউরিডিসিকে নিয়ে হাজির হলেন দেবতা হেইডিসের কাছে। সব শুনে হেইডিস বললেন, তুমি গানে যদি আমাদের মুগ্ধ করতে পারো, তবেই পাবে তোমার প্রিয়তমা ইউরিডিসির প্রাণ। অর্ফিয়াস হৃদয় নিঙরে শোনালো তার বুকের ভেতরের হাহাকার করুন সুরে। সমস্ত পাতাল বেদনায় স্থবির হয়ে গেলো সেই সুর শুনে। রানী পারসেফোনি কাঁদলেন, হেইডিসের চোখেও জল চলে এলো। হেইডিস ইউরিডিসির প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সম্মত হলেন। তবে শর্ত দিলেন- সূর্যের আলো ইউরিডিসির শরীরে না পড়া পর্যন্ত সে উরিডিসির দিকে তাকাতে পারবে না। সে শর্ত মেনে নিয়ে খুশি মনে ইউরিডিসিকে নিয়ে ফিরে চললো অর্ফিয়াস।
:
পাতালের পথ পারি দিয়ে মর্তে প্রবেশের পূর্বে সূর্যের আলো দেখার সাথে সাথে সে অধীর হয়ে তাকালো প্রিয়তমা ইউরিডিসির দিকে। কিন্তু হায়! ভুল হয়ে গেছে সূর্য তো কেবল অর্ফিয়ুসের শরীরে পড়েছিলো তখনো ইউরিডিসির শরীরে পড়েনি। এই সামান্য ভুলে হারাতে হলো ইউরিডিসিকে সারা জনমের জন্য। ইউরিডিসির শোকে পাগলের মতো হয়ে গেলো অর্ফিয়াস। দেবতারা তাকে স্বর্গরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলো। শোকে ধুঁকে ধুঁকে একদিন মারা গেলেন অর্ফিয়াস। তার লাশ ভেসে গেলো লেসবস দ্বীপে। তাই এখনো কখনো কখনো সেখান থেকে গভীর রাতে বাতাসে কান্নার হুহু সুর ভেসে আসে। অর্ফিয়াস এখনো কাঁদে ইউরিডিসির জন্য। লেসবন দ্বীপে বর্তমানে অফিয়াস মন্দিরে এখনো প্রার্থনা করে ইউরোপের নানা মানুষ।
:
ওহ ঈশ্বর, ভগবান, খোদা, জিউস, পসাইডন, বুদ্ধ, গড, যিশু, মোজেজ, আল্লাহ, যিহোবা, শিব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, নির্ধামিকের গড(জুকারবার্গ), কনফুসিয়াস, জরথ্রুস্ট, শিন্টো কামি কই যাই ?
দেবতা অর্ফিয়াস
:
প্রাচীন জিউস নির্ভর গ্রীসের সুর তথা গানের দেবতা এ্যাপোলো ও মিউজ ক্যাল্লোপির পুত্র অর্ফিয়াস ছিলো মহান কবি ও শিল্পী। তার গানে দেবতা, মানুষতো বটেই পশু-পাখিও মুগ্ধ হয়ে যেতো। তন্ময় হয়ে শুনতো অর্ফিয়াসের গান। সেই অর্ফিয়াস প্রেমে পড়লো সুন্দরি নিম্ফ কন্যা ইউরিডিসির। ইউরিডিসিকে না পেলে এ জন্ম ব্যর্থ, ভাবে সে। ইউরিডিসির মন জয় করতে অর্ফিয়াস তার সমস্ত হৃদয় গলে তৈরি করলো মন ভোলানো এক সুর। আর সেই সুরে হৃদয়ের সব কথায় গাইলো এমন এক গান, যে গানে মুগ্ধ হয়ে ইউরিডিসি তার মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ফেললো অর্ফিয়াসকে। তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে বিয়ে করবে। ধুমধামে বিয়ে হলো অর্ফিয়াস ও ইউরিডিসির। বিয়ের দেবতা হাইমেনাসও তাদের আর্শিবাদ করলো।
:
ভোজ শেষে অতিথিদের বিদায় জানিয়ে শেষে বাড়ি ফিরছিলো ইউরিডিসি অর্ফিয়াসের বাহুলগ্ন হয়ে। কিন্তু তারা জানতো না ঝোঁপের আড়ালে লুকিয়ে আছে মেষপালক এরিস্তায়াস। যে কিনা চুপচাপ ভালোবাসতো রূপসী ইউরিডিসিকে। আজ রাতেই অর্ফিয়াস আর ইউরিডিসি মিলিত হবে, এটা কিছুতেই হতে দিতে চায় না এরিস্তায়াস। এরিস্তায়াস এবার ভিলেন সেজে হত্যা করতে চাইলে ইউরিডিসিকে। হঠাৎ পা ফসকে ইউরিডিসি পড়ে গেলো এক সাপের গর্তে। আর তার পায়ের আঘাতে মারা যায় সেই গর্তে থাকা সাপের বাচ্চা। সাপ এতে রেগে গিয়ে দংশন করে বসে ইউরিডিসিকে। সাপের বিষে নীল হয়ে মারা যায় ইউরিডিসি। এ অবস্থা দেখে ভয়ে এরিস্তায়াস পালিয়ে যায়। ইউরিডিসিকে জড়িয়ে অর্ফিয়াস ভেঙ্গে পড়ে কান্নায়।
:
তার কান্নার করুন সুরে আকাশ-বাতাসে হাহাকার ওঠে। এবার এগিয়ে এলো এ্যাপোলো। কিন্তু কিছেুতেই শান্ত হতে পারে না অর্ফিয়াস। তাই ছুটে যান মৃত্যু দেবতা হেইডিসের কাছে। পাতালে যাওয়ার সুযোগ করে দিলেন এ্যাপোলো। ইউরিডিসিকে নিয়ে হাজির হলেন দেবতা হেইডিসের কাছে। সব শুনে হেইডিস বললেন, তুমি গানে যদি আমাদের মুগ্ধ করতে পারো, তবেই পাবে তোমার প্রিয়তমা ইউরিডিসির প্রাণ। অর্ফিয়াস হৃদয় নিঙরে শোনালো তার বুকের ভেতরের হাহাকার করুন সুরে। সমস্ত পাতাল বেদনায় স্থবির হয়ে গেলো সেই সুর শুনে। রানী পারসেফোনি কাঁদলেন, হেইডিসের চোখেও জল চলে এলো। হেইডিস ইউরিডিসির প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সম্মত হলেন। তবে শর্ত দিলেন- সূর্যের আলো ইউরিডিসির শরীরে না পড়া পর্যন্ত সে উরিডিসির দিকে তাকাতে পারবে না। সে শর্ত মেনে নিয়ে খুশি মনে ইউরিডিসিকে নিয়ে ফিরে চললো অর্ফিয়াস।
:
পাতালের পথ পারি দিয়ে মর্তে প্রবেশের পূর্বে সূর্যের আলো দেখার সাথে সাথে সে অধীর হয়ে তাকালো প্রিয়তমা ইউরিডিসির দিকে। কিন্তু হায়! ভুল হয়ে গেছে সূর্য তো কেবল অর্ফিয়ুসের শরীরে পড়েছিলো তখনো ইউরিডিসির শরীরে পড়েনি। এই সামান্য ভুলে হারাতে হলো ইউরিডিসিকে সারা জনমের জন্য। ইউরিডিসির শোকে পাগলের মতো হয়ে গেলো অর্ফিয়াস। দেবতারা তাকে স্বর্গরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলো। শোকে ধুঁকে ধুঁকে একদিন মারা গেলেন অর্ফিয়াস। তার লাশ ভেসে গেলো লেসবস দ্বীপে। তাই এখনো কখনো কখনো সেখান থেকে গভীর রাতে বাতাসে কান্নার হুহু সুর ভেসে আসে। অর্ফিয়াস এখনো কাঁদে ইউরিডিসির জন্য। লেসবন দ্বীপে বর্তমানে অফিয়াস মন্দিরে এখনো প্রার্থনা করে ইউরোপের নানা মানুষ।
:
ওহ ঈশ্বর, ভগবান, খোদা, জিউস, পসাইডন, বুদ্ধ, গড, যিশু, মোজেজ, আল্লাহ, যিহোবা, শিব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, নির্ধামিকের গড(জুকারবার্গ), কনফুসিয়াস, জরথ্রুস্ট, শিন্টো কামি কই যাই ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন