বদর যুদ্ধের পরবর্তী আরো কয়েকটি ইহুদি হত্যার ঘটনা :
:
বদর যুদ্ধে অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর নবী হযরত মুহাম্মদ আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এই যুদ্ধের পর তিনি পর পর বেশ কয়েকজন মানুষকে খুনের আদেশ জারি করেন। মুহাম্মদের আদেশে তাঁর অনুসারীরা সেই লোকগুলোকে রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে করে খুন। যাদেরকে খুন করা হয় তাঁদের কেউই মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কোনোরূপ শারীরিক আঘাত করেননি।
:
বদর যুদ্ধে অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর নবী হযরত মুহাম্মদ আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এই যুদ্ধের পর তিনি পর পর বেশ কয়েকজন মানুষকে খুনের আদেশ জারি করেন। মুহাম্মদের আদেশে তাঁর অনুসারীরা সেই লোকগুলোকে রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে করে খুন। যাদেরকে খুন করা হয় তাঁদের কেউই মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কোনোরূপ শারীরিক আঘাত করেননি।
১২০ বছর বয়সী অতি-বৃদ্ধ মানুষ থেকে শুরু করে দুগ্ধপোষ্য সন্তান-জননীকেও তিনি রেহায় দেননি। বদর যুদ্ধের আনুমানিক মাস দেড়েক পরে, মুহাম্মদের আদেশে তাঁর এক অনুসারী নৃশংসভাবে খুন করেন ১২০ বছর বয়সী অতি বৃদ্ধ ইহুদী কবি আবু আফাককে।
কী তাঁর অপরাধ?
তাঁর অপরাধ এই যে, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা আল-হারিথ বিন সুয়া'দ বিন সামিত নামক এক ব্যক্তিকে খুন করার পর তিনি সেই খুনের প্রতিবাদে মুহাম্মদের কর্মকাণ্ডের কটাক্ষ ও সমালোচনা করে "একটি (বিদ্রূপাত্মক) কবিতা" লিখেছিলেন। আবু আফাক কে খুন করার জন্য সেলিম বিন উমায়েরের অভিযান:
‘আবু আফাক ছিলেন বানু উবেয়দাহ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বানু আমর গোত্রের। আল্লাহর নবী আল-হারিথ বিন সুয়া'দ বিন সামিতকে খুন করার পর তিনি আল্লাহর নবীকে অপছন্দ করা শুরু করেন এবং এর প্রতিবাদে কবিতা লেখেন। তা শুনে আল্লাহর নবী বলেন, "কে আছ তোমরা যে এই বদমায়েশটার ব্যবস্থা করতে পারবে?" যার ফলশ্রুতিতে সালিম বিন উমায়ের নামের ভাড়াটে শোককারীদের একজন, বানু আমর বিন আউফ গোত্রের এক ভাই তাঁকে খুন করেন।
তিনি [সালিম ইবনে উমায়ের] সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন যতদিন না গরম রাত্রির আগমন ঘটেছিল এবং আবু আফাক বাহিরে ঘুমিয়েছিলেন। সালিম ইবনে উমায়ের তা জানতেন, তাই তিনি তাঁর তলোয়ার তার কলিজার মধ্যে ঢুকিয়ে চাপ দিতে থাকেন যতক্ষণ না তা তার বিছানা অবধি পৌঁছে। আল্লাহর শত্রু তীক্ষ্ণ আর্তনাদ করতে থাকে এবং তাঁর অনুসারী জনগণ তাঁর কাছে ছুটে আসে এবং তাঁকে তাঁর ঘরের ভেতরে নিয়ে যায়।' এভাবে তার মৃত্যু হয়।
:
পাঁচ সন্তানের মা আসমা-বিনতে মারওয়ান কে খুন-
:
পাঁচ সন্তানের মা আসমা-বিনতে মারওয়ান কে খুন-
'তিনি [আসমা-বিনতে মারওয়ান] ছিলেন বানু উমাইয়া বিন জায়েদ গোত্রের। আবু আফাক-কে হত্যার পর তিনি তাঁর বিদ্বেষ প্রকাশ করেন নানাভাবে। আসমা ছিল ইয়াজিদ ইবনে জায়েদ ইবনে হিসন আল-খাতমির স্ত্রী। সে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর কটূক্তি করতো, নবীকে পীড়া দিত এবং (লোকজনদের) নবীর বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতো। সেও কবিতা লিখেছিল।
আল্লাহর নবী যখন তাঁর কথাগুলো জানতে পান, তখন তিনি বলেন, "কে পারে. যে আমাকে মারওয়ান কন্যার হাত থেকে পরিত্রাণ দেবে?"
উমায়ের বিন আদি এক রাতে তার কাছে আসেন এবং তার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তার সন্তানরা তার আশেপাশেই ঘুমচ্ছিল। সে তার সন্তানের একজনকে স্তন পান করাচ্ছিল। উমায়ের বিন আদি ছিলেন অন্ধ, তাই তাঁর হাত দিয়ে তিনি তাকে খোঁজেন এবং তার সন্তানদের তার কাছ থেকে আলাদা করেন। তিনি তাঁর তরবারি তার বুকের মধ্যে জোরে ঢুকিয়ে দেন যতক্ষণ না তা তার পিঠ পর্যন্ত পৌঁছে।
তারপর তিনি আল্লাহর নবীর সাথে মদিনায় সকালের নামাজ আদায় করেন। আল্লাহর নবী তাঁকে বলেন, "তুমি কি মারওয়ান পুত্রীকে হত্যা করেছ?" তিনি বলেন, "হ্যাঁ। আমার আরও কিছু কি করতে হবে?" এ কাজের জন্য আল্লাহর নবী অন্ধ উমায়ের কে “বসির (চক্ষুস্মান)” নামে অভিহিত করেন।
একজন ইহুদি কবি ও একজন ব্যবসায়ি হত্যা -
:
হেযাজের ইহুদী ব্যবসায়ী আবু রাফে’কে নবীর নির্দেশে ঘুমন্ত অবস্থায় মুসলিম ‘আবদুল্লাহ ইবনে আতিক’ ও বনী কুরাইযা গোত্রের ইহুদী কবি ‘কা’ব ইবনে আশরাফ’কে মুসলিম ‘মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা’ ধোকার আশ্রয় নিয়ে হত্যা করেন। সরল বিশ্বাসে ইহুদী কবি কা’ব মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামার সামনে এলে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা তার চুলের সুগন্ধির প্রশংসা করে তার চুলের ঘ্রাণ নেয়ার অনুমতি চান। কবি কা’ব সরল বিশ্বাসে ঘ্রাণ নিতে সম্মতি দিলে ধোকায় ফেলে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা তার চুল আকড়ে ধরেন এবং সঙ্গীদের সহায়তায় তাকে হত্যা করেন (বুখারী-২৮০০-১,৬,৩৭৩৫-৬),
:
হেযাজের ইহুদী ব্যবসায়ী আবু রাফে’কে নবীর নির্দেশে ঘুমন্ত অবস্থায় মুসলিম ‘আবদুল্লাহ ইবনে আতিক’ ও বনী কুরাইযা গোত্রের ইহুদী কবি ‘কা’ব ইবনে আশরাফ’কে মুসলিম ‘মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা’ ধোকার আশ্রয় নিয়ে হত্যা করেন। সরল বিশ্বাসে ইহুদী কবি কা’ব মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামার সামনে এলে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা তার চুলের সুগন্ধির প্রশংসা করে তার চুলের ঘ্রাণ নেয়ার অনুমতি চান। কবি কা’ব সরল বিশ্বাসে ঘ্রাণ নিতে সম্মতি দিলে ধোকায় ফেলে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা তার চুল আকড়ে ধরেন এবং সঙ্গীদের সহায়তায় তাকে হত্যা করেন (বুখারী-২৮০০-১,৬,৩৭৩৫-৬),
================================================
সূত্র : “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৬৭৫-৬৭৬, কিতাব আল-তাবাকাত আল-কাবির – লেখক: মুহাম্মদ ইবনে সা'দ (৭৮৪-৮৪৫ খৃষ্টাব্দ)', অনুবাদ এস মইনুল হক, প্রকাশক কিতাব ভবন, নয়া দিল্লি, সাল ২০০৯ (3rd Reprint), ISBN 81-7151-127-9(set), ভলুউম ২, পার্ট - ১, পৃষ্ঠা - ৩০-৩১। “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৬৭৫-৬৭৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন