সিরাত থেকে নেয়া ইসলামের ইতিহাসপর্ব : ৯
[কুরাইশদের সাথে ওহুদের যুদ্ধে সরাসরি নবী মুহম্মদের অংশগ্রহণ এবং আহত হওয়ার ঘটনা ]
:
যুদ্ধ শুরু হলে কুরাইশদের অতর্কিত আক্রমণে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা সম্পূর্ণরূপে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েন। কুরাইশরা তাদের বহু লোককে করেন হতাহত। মুহাম্মদ নিজেও গুরুতর আহত হন। যে-লোকটি মুহাম্মদকে আহত করেন, তাঁর নাম 'ওতবা বিন আবি ওয়াকাস'।
[কুরাইশদের সাথে ওহুদের যুদ্ধে সরাসরি নবী মুহম্মদের অংশগ্রহণ এবং আহত হওয়ার ঘটনা ]
:
যুদ্ধ শুরু হলে কুরাইশদের অতর্কিত আক্রমণে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা সম্পূর্ণরূপে পর্যুদস্ত হয়ে পড়েন। কুরাইশরা তাদের বহু লোককে করেন হতাহত। মুহাম্মদ নিজেও গুরুতর আহত হন। যে-লোকটি মুহাম্মদকে আহত করেন, তাঁর নাম 'ওতবা বিন আবি ওয়াকাস'।
নবীর নিচের সারির পাশের কর্তন দন্ত (Lower lateral Incisor teeth) ভেঙে যায়, তাঁর ঠোঁট লম্বালম্বিভাবে যায় কেটে এবং তিনি তাঁর গালে ও মাথার চুলের নিচ বরাবর কপালে আঘাত প্রাপ্ত হোন। তাঁর মুখমণ্ডল থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় ও তিনি তা মুছতে থাকেন এবং বলেন,
"যখন নবী লোকদের আল্লাহর দিকে আহ্বান করে, তখন তাঁর মুখমণ্ডল রক্তরঞ্জিত করে কীভাবে তারা উন্নতিলাভ করতে পারে?"
:
ঐ দিন ওতবা বিন আবু ওয়াকাস আল্লাহর নবীকে ভূপাতিত করেন এবং তাঁর দাঁতের নিচের সারির ডান পাশের কর্তনদন্ত ভেঙে ফেলেন ও তাঁর নিচের ঠোঁট জখম করেন, আবদুল্লাহ বিন শিহাব আল-জুহরি তাঁর কপাল (forehead) জখম করেন এবং ইবনে কামিয়াহ জখম করেন তাঁর গালের হাড়। নবীর শিরস্ত্রাণের দু'টি আংটা তাঁর গালে ঢুকে যায় এবং তিনি একটি গর্তে পড়ে যান, যে-গর্তটি আবু আমির তৈরি করে রেখেছিলেন যাতে মুসলমানেরা অসাবধান অবস্থায় তাতে পড়ে যায়। আলী নবীর হাত ধরে রাখেন এবং তালহা ইবনে ওবায়েদুল্লাহ তাঁকে টেনে ওঠান, যতক্ষণে না তিনি খাড়া হয়ে দাঁড়াতে পারেন। আবদুল আজিজ বিন মুহাম্মদ আল-দারাওয়ার্দি বলেন যে আল্লাহর নবী বলেছেন, "যদি কোনো লোক পৃথিবীর বুকে হাঁটাচলা করা কোন শহীদ (martyr)-কে দেখতে ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে সে যেন তালহা ইবনে ওবায়েদুল্লাহ কে তাকিয়ে দেখে।"
:
মালিক বিন সিনান নবীর মুখমণ্ডল থেকে রক্ত চুষে নেন। তারপর তিনি তা গিলে ফেলেন (--sucked the blood from apostle’s face. Then he swallowed it)। তা দেখে নবী বলেন, "যার রক্ত আমার রক্তের সাথে মিশ্রিত হয় (mingles) তাকে দোজখের আগুন স্পর্শ করবে না।"
:
আবু ওবায়েদা বিন আল-যাররাহ ঢুকে যাওয়া আংটাগুলোর একটি নবীর মুখমণ্ডল থেকে টেনে তুলে ফেলেন এবং তাতে তাঁর সামনের দাঁত খসে পড়ে। তিনি অন্য আংটাটি টেনে তুলে ফেলেন এবং তাঁর অন্য কর্তনদন্তটিও খসে পড়ে।’
=========================================================
:
ঐ দিন ওতবা বিন আবু ওয়াকাস আল্লাহর নবীকে ভূপাতিত করেন এবং তাঁর দাঁতের নিচের সারির ডান পাশের কর্তনদন্ত ভেঙে ফেলেন ও তাঁর নিচের ঠোঁট জখম করেন, আবদুল্লাহ বিন শিহাব আল-জুহরি তাঁর কপাল (forehead) জখম করেন এবং ইবনে কামিয়াহ জখম করেন তাঁর গালের হাড়। নবীর শিরস্ত্রাণের দু'টি আংটা তাঁর গালে ঢুকে যায় এবং তিনি একটি গর্তে পড়ে যান, যে-গর্তটি আবু আমির তৈরি করে রেখেছিলেন যাতে মুসলমানেরা অসাবধান অবস্থায় তাতে পড়ে যায়। আলী নবীর হাত ধরে রাখেন এবং তালহা ইবনে ওবায়েদুল্লাহ তাঁকে টেনে ওঠান, যতক্ষণে না তিনি খাড়া হয়ে দাঁড়াতে পারেন। আবদুল আজিজ বিন মুহাম্মদ আল-দারাওয়ার্দি বলেন যে আল্লাহর নবী বলেছেন, "যদি কোনো লোক পৃথিবীর বুকে হাঁটাচলা করা কোন শহীদ (martyr)-কে দেখতে ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে সে যেন তালহা ইবনে ওবায়েদুল্লাহ কে তাকিয়ে দেখে।"
:
মালিক বিন সিনান নবীর মুখমণ্ডল থেকে রক্ত চুষে নেন। তারপর তিনি তা গিলে ফেলেন (--sucked the blood from apostle’s face. Then he swallowed it)। তা দেখে নবী বলেন, "যার রক্ত আমার রক্তের সাথে মিশ্রিত হয় (mingles) তাকে দোজখের আগুন স্পর্শ করবে না।"
:
আবু ওবায়েদা বিন আল-যাররাহ ঢুকে যাওয়া আংটাগুলোর একটি নবীর মুখমণ্ডল থেকে টেনে তুলে ফেলেন এবং তাতে তাঁর সামনের দাঁত খসে পড়ে। তিনি অন্য আংটাটি টেনে তুলে ফেলেন এবং তাঁর অন্য কর্তনদন্তটিও খসে পড়ে।’
=========================================================
সূত্র : “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫,পৃষ্ঠা ৩৮০ ; তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭, ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪০৩
===========================================================
===========================================================
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন