শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কুরাইশ মুসলিম বদর যুদ্ধের করুণাত্মক হত্যা পর্ব : ৩ [ধর্ম বিষয়ক প্রবন্ধ # ৩৮ ]

কুরাইশ মুসলিম বদর যুদ্ধে নিহত কুরাইশদের লাশের করুণ পরিণতি :

ওতবা বিন রাবিয়ার লাশের পরিণতি :

‘যখন আল্লাহর নবী লাশগুলো গর্তে ফেলে দেয়ার আদেশ জারি করলেন, [আবু হুদেইফার পিতা] ওতবা বিন রাবেয়ার লাশ গর্তে টেনে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমাকে [ইবনে ইশাক] বলা হয়েছে যে, আল্লাহর নবী ওতবার ছেলে আবু হুদেইফা বিন ওতবার মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, ছেলেটির মুখটি ছিল বিমর্ষ ও ছলছলে। [ওতবার ছেলে মুসলিম হওয়ার কারণে মদিনার নবীর পক্ষে যুদ্ধ করেছিল]।

তিনি [নবী] বলেন, "আবু হুদেইফা, তোমার আব্বার এই অবস্থাদৃষ্টে সম্ভবতঃ তুমি কিছুটা বিষণ্ণতা অনুভব করছো", অথবা এ জাতীয় কোন বাক্য। তিনি [আবু হুদাইফা] বলেন, "না। আমার আব্বার ব্যাপারে আমার কোনো সংশয় নাই, সে মৃত। আমি জানতাম যে, আমার আব্বা ছিলেন একজন জ্ঞানী, সুশিক্ষিত ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি, তাই আমি আশা করেছিলাম যে, তিনি ইসলামে দীক্ষিত হবেন। তাঁর এই পরিণতি এবং অবিশ্বাসী অবস্থায় তাঁর মৃত্যুবরণ হওয়ায় আমি মনঃক্ষুণ্ণ।" আল্লাহর নবী তাঁকে আশীর্বাদ করেন এবং তাঁর সাথে সদয় ভাবে কথা বলেন’। 
:
উমাইয়া বিন খালাফের লাশের পরিণতি :

‘যখন আল্লাহর নবী লাশগুলো গর্তে ফেলে দেয়ার আদেশ জারি করেছিলেন, উমাইয়া বিন খালাফের লাশ ছাড়া আর সবার লাশই গর্তে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। বর্মের ভিতরে তার লাশটি ফুলে এমনভাবে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল যে নড়া চড়া করার সময় তাঁর বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছিল। তাই তাঁর লাশটি যেখানে ছিল, সেখানেই রেখে তাঁরা মাটি ও পাথর চাপা দিয়েছিলেন। যখন লাশ গুলো গর্তে ফেলা হচ্ছিল তখন আল্লাহর নবী দাঁড়িয়ে যান এবং বলেন, "হে গর্ত-বাসী, আল্লাহর হুমকি যে সত্য, তা কি তোমরা উপলব্ধি করছো? 
:
সহি বুখারি: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নং ৩১৪: ‘আবু তালহা হইতে বর্ণিত:
বদর যুদ্ধের দিন আল্লাহর নবী চব্বিশ জন কুরাইশ নেতৃবৃন্দের লাশ বদরের এক নোংরা শুকনো গর্তে [কালিব কুপ] নিক্ষেপ করার আদেশ জারী করেন’।

সহি বুখারি: ভলিউম ৪, বই ৫২, নং ২২০: আবু হুরাইরা হইতে বর্ণিত: আল্লাহর নবী বলেছেন,
"--সন্ত্রাসের মাধ্যমেই আমি জয়যুক্ত হয়েছি”। 
==============================================

সূত্র : “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৩০৫-৩০৭; খ) “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭, ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-88706-344-6 [ISBN 0-88706-345-4 (pbk)],
পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩৩১-১৩৩৩ ; সহি বুখারি: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নং ৩৬০
http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/92/5695-sahih-bukhari-volume-005-book-059-hadith-number-360.html ; সহি বুখারি: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নং ৩১৬ -৩১৭
http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/92/5742-sahih-bukhari-volume-005-book-059-hadith-number-316.html
http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/92/5740-sahih-bukhari-volume-005-book-059-hadith-number-317.html

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন