ইসলাম ধর্ম : পর্ব # ৭
[১ম-ষষ্ঠ পর্বের পর]
ইসলাম ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থে তাদের বিভিন্ন রোগ-শোক নিরাময়ের জন্যে যে সকল সুরা বা দোয়া পাঠের কথা বলা হয়েছিল তা হচ্ছে-
সুরা ক্বাফের ২২ আয়াত প্রত্যহ ৩-বার পাঠ করলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি ও চোখের রোগ আরোগ্য হবে। সুরা বনী ঈসরাইলের ১০৫ আয়াত প্রত্যহ ৩-বার পাঠ করলে ব্যথার অবসান ঘটে। বিতরের নামাযে সুরা ফাতেহার পর ওয়াত্তীন, আলহাকুমত্তাকা ও ইখলাস পাঠ করলে কখনো দাঁত পড়বে না কিংবা নষ্ট হবেনা। সুরা ইউনুস প্রত্যহ বার বার পাঠ করলে বিপদ ও মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সুরা তাওবা পাঠে দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। আয়াতুল কুরসী লিখে দোকানে রাখলে দোকান চুরি, ডাকাতি ও আগুণ থেকে রক্ষা পায়, ১০০-বার পাঠ করলে বিদ্যা বা ইলম বৃদ্ধি পায়। অবাধ্য দাস-দাসীর চুল ধরে সুরা হুদের ৫৬ আয়াত পাঠ করলে দাস বাধ্য দাসে পরিণত হবে।
সালাতে 'দরূদে নামিয়াহ' প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে চাকুরীপ্রাপ্তি ঘটে। সুরা রা’দের ১২ আয়াত চীনামাটির পাত্রে লিখে তার পানি কারো ঘরে রাত্রে গোপনে লটকে রাখলে, ঐ ব্যক্তির চাকুরী নষ্ট হবে। যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুরা ইউনুসের ১১ আয়াত লিখে তার পানিতে গোসল করালে যাদু নষ্ট হয়ে ব্যক্তিটি সুস্থ্য হবে। ‘ওয়া মিনান্নাসি----জামি’আ’ নামক আয়াতটি পাঠ করে কোন খাবারে ফুঁ দিয়ে খাবারটি স্বামীকে খাওয়ালে স্বামী "স্ত্রৈণ" স্বামীতে পরিণত হবে। ‘ইয়া বিলাহ মুঈ সানুছ নাহ কাতি’ নামক দোয়াটি পাঠ করলে ৩৬৫ দিন সাপের কামড় থেকে মুক্ত থাকা যাবে। সুরা মায়েদার ৬৪ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে দুই ব্যক্তির মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করা যাবে।
সুরা ইয়াসিনের ৫৮ আয়াত প্রত্যহ ২৮০-বার পাঠ করলে কলেরা রোগ হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা ইউনুসের ১০৭ আয়াত প্রত্যহ ৭-বার পাঠ করলে বসন্ত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা আর-রাহমানের ২৭ আয়াত প্রত্যহ ৩১-বার পাঠ করলে স্ত্রীগণ নিরাপদ ও সহজেই সন্তান প্রসব করবে। সুরা ফাতিরের ৪১ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে প্লিহা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা ওয়াকিয়ার ১৮ আয়াত প্রত্যহ ৩-বার পাঠ করলে মাথা ধরা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা আরাফের ৮৩ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে পেটের ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা ক্বামরের ১২ আয়াত বারবার পাঠ করলে অনাবৃষ্টির সময় বৃষ্টি নামবে।
সুরা হূদের ৪৪ আয়াত বারবার পাঠ করলে অতিবৃষ্টি বন্ধ হবে। সুরা বাকারার ১৫৬ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে হারানো বস্তু ফিরে পাওয়া যাবে। ‘ইয়া ফাত্তাহু’ নামটি প্রত্যহ ৪০-বার পাঠ করলে ৪০-দিনের মধ্যে পাঠকারীর বিবাহ সম্পন্ন হবে। সুরা ওয়াকিয়ার ৮৩ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে আটকানো গলার কাঁটা মুক্ত হবে। ‘ওয়া ইউছা----খিফাতিহী’ নামক আয়াতটি পাঠ করলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ‘নাছরুম-----তাছিফুন’ নামক দোয়াটি টুপিতে লিখে পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা পাশ করা নিশ্চিত হবে। সুরা যিলযালাহ চীনা মাটির পাত্রে লিখে ধৌত করে ২০দিন পানি পান করলে পক্ষাঘাত রোগী আরোগ্য লাভ করবে। সুরা তারিক রুটির উপর লিখে তা পাগলা কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তিকে ৪০দিন খাওয়ালে জলাতঙ্ক রোগ নষ্ট হবে।
ইসলামী বিশ্বাস মতে, পবিত্র কাবা ঘরের দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। ‘বিসমিল্লাহ’ না বলে কোন কিছু খেলে স্বাস্থ্য নষ্ট ও স্মরণশক্তি লোপ পেতো। ইসলামী মতে, তাড়াতাড়ি করা শয়তানের কাজ ছিল। সুরা আর-রাহমানের ১-৪ আয়াত পাঠ করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পেতো। বেকার ও অভাবগ্রস্থ ব্যক্তি ১০০ বার করে ইস্তিগফার ও দরূদ পাঠ করলে তার আর্থিক উন্নতি ও বেকারত্ব হ্রাস পাওয়ার কথা ইসলাম ধর্ম পুস্তকে বর্ণনা করা হয়েছিল (তিরমিযী : ২৮৭৫-৩১১৬)।
জাদুবিদ্যা শেখা ও তার প্রয়োগ করাও ইসলামে হারাম ছিল। এ ধর্মে রেশমী বস্ত্র পরিধান ও স্বর্ণপাত্রে আহার হারাম করলেও, জান্নাতে তার লোভ দেখানো হয়েছিল। ইসলামী হাদিস গ্রন্থে বলা হয়েছিল - সাইহান, জাইজান, ফোরাত ও নীল এ ৪টি হচ্ছে বেহেস্তের নদী। একজনের বলা দামের উপর বেশী দাম হাকানো তথা প্রকাশ্যে নিলামে জিনিস ক্রয় করা ইসলামে নিষিদ্ধ ছিল। ইসলামে গিরগিটিকে হত্যা করা এ জন্যে পুণ্যময় ছিল যে, এটি ইব্রাহিমকে নিক্ষিপ্ত আগুণে ফুঁ দিয়েছিল। ইসলাম ধর্মমতে, হযরত মুসার নিকট আকাশ থেকে প্রেরিত বেহেস্তি খাবারের মধ্যে ‘মান’ বা মানওয়া ছিল প্রকৃতপক্ষে ‘ব্যঙের ছাতার মত’ (সূত্র : রিয়াদুস সালেহীন হাদিস নং ১৮৬৮)। ঐ সময়ের ক্রীতদাস প্রথা সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা ছিল, ‘‘কোন ক্রীতদাস তার মনিবের নিকট থেকে পালিয়ে গেলে তার নামাজ কবুল হয়না’’, ‘‘তখন সে কুফরী করে’’, ‘‘তার ব্যাপারে ইসলামের দায়-দায়িত্ব শেষ’’।
[১ম-ষষ্ঠ পর্বের পর]
ইসলাম ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থে তাদের বিভিন্ন রোগ-শোক নিরাময়ের জন্যে যে সকল সুরা বা দোয়া পাঠের কথা বলা হয়েছিল তা হচ্ছে-
সুরা ক্বাফের ২২ আয়াত প্রত্যহ ৩-বার পাঠ করলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি ও চোখের রোগ আরোগ্য হবে। সুরা বনী ঈসরাইলের ১০৫ আয়াত প্রত্যহ ৩-বার পাঠ করলে ব্যথার অবসান ঘটে। বিতরের নামাযে সুরা ফাতেহার পর ওয়াত্তীন, আলহাকুমত্তাকা ও ইখলাস পাঠ করলে কখনো দাঁত পড়বে না কিংবা নষ্ট হবেনা। সুরা ইউনুস প্রত্যহ বার বার পাঠ করলে বিপদ ও মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সুরা তাওবা পাঠে দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। আয়াতুল কুরসী লিখে দোকানে রাখলে দোকান চুরি, ডাকাতি ও আগুণ থেকে রক্ষা পায়, ১০০-বার পাঠ করলে বিদ্যা বা ইলম বৃদ্ধি পায়। অবাধ্য দাস-দাসীর চুল ধরে সুরা হুদের ৫৬ আয়াত পাঠ করলে দাস বাধ্য দাসে পরিণত হবে।
সালাতে 'দরূদে নামিয়াহ' প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে চাকুরীপ্রাপ্তি ঘটে। সুরা রা’দের ১২ আয়াত চীনামাটির পাত্রে লিখে তার পানি কারো ঘরে রাত্রে গোপনে লটকে রাখলে, ঐ ব্যক্তির চাকুরী নষ্ট হবে। যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুরা ইউনুসের ১১ আয়াত লিখে তার পানিতে গোসল করালে যাদু নষ্ট হয়ে ব্যক্তিটি সুস্থ্য হবে। ‘ওয়া মিনান্নাসি----জামি’আ’ নামক আয়াতটি পাঠ করে কোন খাবারে ফুঁ দিয়ে খাবারটি স্বামীকে খাওয়ালে স্বামী "স্ত্রৈণ" স্বামীতে পরিণত হবে। ‘ইয়া বিলাহ মুঈ সানুছ নাহ কাতি’ নামক দোয়াটি পাঠ করলে ৩৬৫ দিন সাপের কামড় থেকে মুক্ত থাকা যাবে। সুরা মায়েদার ৬৪ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে দুই ব্যক্তির মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করা যাবে।
সুরা ইয়াসিনের ৫৮ আয়াত প্রত্যহ ২৮০-বার পাঠ করলে কলেরা রোগ হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা ইউনুসের ১০৭ আয়াত প্রত্যহ ৭-বার পাঠ করলে বসন্ত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা আর-রাহমানের ২৭ আয়াত প্রত্যহ ৩১-বার পাঠ করলে স্ত্রীগণ নিরাপদ ও সহজেই সন্তান প্রসব করবে। সুরা ফাতিরের ৪১ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে প্লিহা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা ওয়াকিয়ার ১৮ আয়াত প্রত্যহ ৩-বার পাঠ করলে মাথা ধরা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা আরাফের ৮৩ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে পেটের ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুরা ক্বামরের ১২ আয়াত বারবার পাঠ করলে অনাবৃষ্টির সময় বৃষ্টি নামবে।
সুরা হূদের ৪৪ আয়াত বারবার পাঠ করলে অতিবৃষ্টি বন্ধ হবে। সুরা বাকারার ১৫৬ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে হারানো বস্তু ফিরে পাওয়া যাবে। ‘ইয়া ফাত্তাহু’ নামটি প্রত্যহ ৪০-বার পাঠ করলে ৪০-দিনের মধ্যে পাঠকারীর বিবাহ সম্পন্ন হবে। সুরা ওয়াকিয়ার ৮৩ আয়াত প্রত্যহ বারবার পাঠ করলে আটকানো গলার কাঁটা মুক্ত হবে। ‘ওয়া ইউছা----খিফাতিহী’ নামক আয়াতটি পাঠ করলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ‘নাছরুম-----তাছিফুন’ নামক দোয়াটি টুপিতে লিখে পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা পাশ করা নিশ্চিত হবে। সুরা যিলযালাহ চীনা মাটির পাত্রে লিখে ধৌত করে ২০দিন পানি পান করলে পক্ষাঘাত রোগী আরোগ্য লাভ করবে। সুরা তারিক রুটির উপর লিখে তা পাগলা কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তিকে ৪০দিন খাওয়ালে জলাতঙ্ক রোগ নষ্ট হবে।
ইসলামী বিশ্বাস মতে, পবিত্র কাবা ঘরের দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। ‘বিসমিল্লাহ’ না বলে কোন কিছু খেলে স্বাস্থ্য নষ্ট ও স্মরণশক্তি লোপ পেতো। ইসলামী মতে, তাড়াতাড়ি করা শয়তানের কাজ ছিল। সুরা আর-রাহমানের ১-৪ আয়াত পাঠ করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পেতো। বেকার ও অভাবগ্রস্থ ব্যক্তি ১০০ বার করে ইস্তিগফার ও দরূদ পাঠ করলে তার আর্থিক উন্নতি ও বেকারত্ব হ্রাস পাওয়ার কথা ইসলাম ধর্ম পুস্তকে বর্ণনা করা হয়েছিল (তিরমিযী : ২৮৭৫-৩১১৬)।
জাদুবিদ্যা শেখা ও তার প্রয়োগ করাও ইসলামে হারাম ছিল। এ ধর্মে রেশমী বস্ত্র পরিধান ও স্বর্ণপাত্রে আহার হারাম করলেও, জান্নাতে তার লোভ দেখানো হয়েছিল। ইসলামী হাদিস গ্রন্থে বলা হয়েছিল - সাইহান, জাইজান, ফোরাত ও নীল এ ৪টি হচ্ছে বেহেস্তের নদী। একজনের বলা দামের উপর বেশী দাম হাকানো তথা প্রকাশ্যে নিলামে জিনিস ক্রয় করা ইসলামে নিষিদ্ধ ছিল। ইসলামে গিরগিটিকে হত্যা করা এ জন্যে পুণ্যময় ছিল যে, এটি ইব্রাহিমকে নিক্ষিপ্ত আগুণে ফুঁ দিয়েছিল। ইসলাম ধর্মমতে, হযরত মুসার নিকট আকাশ থেকে প্রেরিত বেহেস্তি খাবারের মধ্যে ‘মান’ বা মানওয়া ছিল প্রকৃতপক্ষে ‘ব্যঙের ছাতার মত’ (সূত্র : রিয়াদুস সালেহীন হাদিস নং ১৮৬৮)। ঐ সময়ের ক্রীতদাস প্রথা সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা ছিল, ‘‘কোন ক্রীতদাস তার মনিবের নিকট থেকে পালিয়ে গেলে তার নামাজ কবুল হয়না’’, ‘‘তখন সে কুফরী করে’’, ‘‘তার ব্যাপারে ইসলামের দায়-দায়িত্ব শেষ’’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন