খৃস্টান ধর্ম [Christianity] : পর্ব # ৩
সূর্যদেবের প্রতিক এডোনিস, গ্রীক ইক্সিয়ন, প্রমিথিউস, এ্যাপলো, হিব্রু ইআও-কেও ক্রুসবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রাচীন মানুষেরা বিশ্বাস করতো। প্রাচীন ফিনিশিয় দেবতা আসতারতে, ব্যবিলের বাল এবং গ্রিক এফ্রোডাইট দেবতাদের লোগো ছিল ক্রুস। খ্রীস্ট ধর্মের আগেই প্রাচীন উত্তরপূর্ব ইতালীতে হ্রদের ধারে যে জাতি বাস করতো, তারা ধর্মীয় ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে ক্রুসকে ব্যবহার করতো। প্রাচীন সোমার উপত্যকায়, ভিলানোভা সমাধিক্ষেত্রে, গল জাতির মুদ্রায় যিশুর জন্মের আগেই ক্রুসের ব্যবহার দেখা যায়।আইসল্যান্ডের মিটগার্ড নামক দানব সাপের ধ্বংসকারী হাতুড়ী গড শক্তিধর ‘থর’ দেবতার ক্রুস ২০১৪ সনেও আইসল্যান্ডে ব্যবহৃত হতো নর্স জাতির কাছে ঝড়-বৃষ্টির ম্যাজিক চিহ্নরূপে।
পৃথিবীর সকল মানুষের ‘পাপ’ গ্রহণকারী যীশুখ্রীস্টের বক্তব্য ছিল, ‘‘এ কথা মনো করো না, আমি মোশির বা মোজেসের আইন-কানুন আর নবীদের কিতাব বাতিল করতে এসেছি, আমি এগুলো করতে আসিনি বরং পূর্ণ করতে এসেছি’’ (মথি, ৫:১৭)। ব্যভিচার সংক্রান্ত যিশুর বাণী ছিল, ‘‘আর যারা তার সঙ্গে ব্যভিচার করে, তারা যদি ব্যভিচার থেকে মন না ফিরায়, তবে তাদের ভীষণ কষ্টের মধ্যে ফেলব, আর তার ছেলেমেয়েদেরও আমি মেরে ফেলবো’’ (প্রকাশিত বাক্য, ২:২২-২৩)।
খ্রীস্টানদের পুরণো পবিত্র মূল গ্রন্থকে বলা হতো ‘ইঞ্জিল’ বা ‘বাইবেল’। বাইবেল আবার বিভিন্ন জনে রচিত ও নানাপর্বে বিভক্ত ছিল যথাক্রমে মথি, মার্ক, লুক, ইউহোন্না, প্রেরিত, রোমীয়, করিন্থীয়, গালাতীয়, ইফিসীয়, ফিলিপীয়, কলসীয়, থিসলনীকীয়, তীমথীয়, তীত, ফিলীমন, ইবরানী, ইয়াকুব, পিতর, এহুদা ইত্যাদি পর্বে। এ সমস্ত পবিত্র কিতাবের উপপর্বে যীশুর বংশ তালিকা, ইয়াহিয়ার তাবলীগ, গালীলের ঘটনা, জেরুজালেম যাত্রা, হেরোদ, তৌরাতের শিক্ষা, ভন্ড নবীদের কথা, যীশুর অলৌকিক ক্ষমতা, মৃত বালিকার জীবনদান, ইবনে আদম, ফরিশীদের কথা, বিভিন্ন উপদেশ, জেরুজালেমে প্রবেশ, মহাসভা ও যীশু, পিতরের অস্বীকার, এহুদিয়া ও সামেরিয়াতে সাক্ষ্য, পৌল, মত্তথিয়, বায়তুল মোকাদ্দাস, অননিয় ও সাফিরা, স্তিফান, ফিলিপ, শৌল, পিতর, কর্নীলিয়ে, আন্তিয়খিয়া, হেরোদ, বার্নাবাস, পিসিদিয়া, লুস্ত্রা, সিল, বিবি লুদিয়া, এথেন্স ও করিন্থ, উতুখকে জীবন দান, পৌলের বিচার, ফীস্ট ও বাদশা আগ্রিপ্প, রোমে পৌল, ইরাম, ইয়াজুজ মাজুজ, কেনান, খামি, গালীল, তর্শীশ, নবী, নাসরত, পীলাত, বালাম, মসীহ, মান্না, লুত, হারুণ, সোলায়মান, হিট্টীয়, তীথথিয়, কলসীয়, ইবরানী, ইউসা, কিতাব ও মেষশাবক, সপ্তম শিঙ্গা, ব্যবিলন শহরের ধ্বংস, ইবরানী, এহুদার মৃত্যু, ক্রুশে যীশু, যীশুর কবর, পুনরুত্থান তথা মুত্যুর পর জীবন ইত্যাদি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছিল।
২০১৫ সনে পৃথিবীতে খ্রীস্ট ধর্ম ব্যাপকভাবে সমাধৃত হয়েছিল এবং বিশ্বের অনেক মানুষ এ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল।
আপাতত শেষ পর্ব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন